সড়কে যানবাহন দেখলেই জিজ্ঞাসাবাদ করছেন আন্দোলনকারীরা
রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক আটকে স্লোগান, গান আর খেলাধুলায় মেতে রয়েছেন কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। শুধু যে মূল সড়ক আটকে রাখা হয়েছে তা নয়, এর সঙ্গে সংযুক্ত ছোট ছোট সড়কের প্রবেশপথগুলোও বন্ধ করে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এতে সড়কে যান চলাচল করতে পারছে না। আর আটকে রাখা এসব ফাঁকা সড়কের মধ্যে কোথাও মোটরসাইকেল বা প্রাইভেটকার চলতে দেখলেই জিজ্ঞাসাবাদ করছেন আন্দোলনকারীরা।
যাত্রীরা কোথায় এবং কেন যাচ্ছে, তা জানতে চাচ্ছেন কোটাবিরোধীরা। জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন দেখানো ছাড়া সব ধরনের যানবাহনকে তারা আটকে দিচ্ছেন। মোট কথা, স্থবির হয়ে পড়েছে পুরো রাজধানীর নানান সড়ক। এতে, ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের। এই যখন অবস্থা, তখন কোথাও কোথাও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ব্যক্তিগত যানবাহনের যাত্রীদের বাকবিতণ্ডায় জড়াতে দেখা গেছে।
রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের সামনে এক প্রাইভেটকারের যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা যায় আন্দোলনকারীদের। ওই গাড়ির এক যাত্রী রেগে বলেন, ‘আমার স্যার এখনি যেতে বলেছেন, আমাকে যেতেই হবে। আপনারা ছাড়েন, ভালো হবে না কিন্তু।’ এরপর তাকে আটকে দেন শিক্ষার্থীরা। কাগজপত্র চেক করেন তার।’
একটু পরে আরেকটি প্রাইভেটকার আটকে দেন। আন্দোলনকারী জিজ্ঞাসা করেন, কোথায় যাবেন? তিনি জানান, হাসপাতালে যাব। এরপর শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখে গাড়িটিকে ছেড়ে দেন।
রাজধানীর বাংলামোটরে একটি মোটরসাইকেল চালককে আটকে দেন শিক্ষার্থীরা। ওই মোটরসাইকেলচালক বাংলামোটর থেকে ভেতরেরর সড়ক দিয়ে কলাবাগান যেতে চান। কিন্তু, আন্দোলনকারীরা বাধা দেন। সে সময় মোটরসাইকেল চালক উচ্চস্বরে বলতে থাকেন, ‘আমি তাহলে কীভাবে যাব?’ তখন শিক্ষার্থীরা তাকে জানান, সড়ক ছেড়ে দিলে তারপর আপনি যাবেন। এতে ক্ষিপ্ত হন ওই চালক।
সরকারি চাকরিতে কোটা বহালে হাইকোর্টের যে রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ আজ সেই রায়ের ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা জারি করেছেন। এ রায় আন্দোলকারীদের পক্ষে এলেও তারা রাজপথ না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আজ বুধবার কোটাবিরোধীরা রাজধানীর শাহবাগ, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট ও সায়েন্সল্যাবসহ অনেক সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন।