কুড়িগ্রামে আবারও বাড়ছে বন্যার পানি
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/07/14/kurrigraam_bnyaa.jpg)
পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এরই মধ্যে জেলার নদ-নদী গুলোতে আবারও পানি বাড়তে শুরু করেছে। দুধকুমার নদীর পানি বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আজ রোববার (১৪ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলার নদ-নদীগুলোর পানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে বানভাসিদের।
বন্যা কবলিত এলাকাগুলো ঘুরে দেখা যায়, অনেক মানুষ ঘরে ফিরলেও ঘরে থাকার মতো পরিবেশ এখনও তৈরি হয়নি। সেই সঙ্গে খাদ্য সংকটে ভুগছে বানভাসি মানুষ। এখনও চর-দ্বীপের চারণভূমিগুলো পানিতে তলিয়ে থাকার কারণে গবাদি পশুর খাদ্য সংকটও দেখা দিয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা ত্রাণ অফিসের তথ্য মতে, জেলার ৪০৫টি চর-দ্বীপে প্রায় ৬ থেকে ৭ লাখ মানুষ বাস করে। এসব এলাকার মানুষ পুরোপুরি কৃষি কাজের ওপর নির্ভরশীল। অনেকেই চিনা বাদাম, তিল, কাউন ও ভুট্টা আবাদ করেছিল। দীর্ঘ সময় এসব ফসলের জমি পানির নিচে থাকার কারণে অধিকাংশ ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এতে চরম বিপর্যয়ে পড়েছে চর-দ্বীপের কৃষকরা।
তথ্য বলছে, জেলায় এবার সাত হাজার ৩৫০ মেট্রিকটন বিভিন্ন ফসল পানিতে তলিয়ে ছিল। অধিকাংশ আবাদই নষ্ট হয়ে গেছে। কুড়িগ্রামের গ্রীন জোনখ্যাত পাঁচগাছি ইউনিয়নের চর সিতাইঝার, নওদাবস, কদমতলার সবজির জমিগুলো সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
জেলা ত্রাণ অফিস সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত ৫৮৭ মেট্রিকটন চাল, নগদ ৩৫ লাখ টাকা এবং ২৪ হাজার ৩৬০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।