শেখ হাসিনা-কাদের-শামীম ওসমানসহ ২০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নারায়ণগঞ্জে আবুল হাসান সজন নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় সাবেক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানসহ ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার (১৭ আগস্ট) নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সাত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত আবুল হাসান সজনের ভাই আবুল বাশার অনিক বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলাটি করেন।
মামলার বাদী অনিক এজহারে অভিযোগ করেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ পাঁচ মন্ত্রীর নির্দেশে নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় ও আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে শহরে মহড়া দিতে থাকে। এ সময় নগরীরর মিশনপাড়া এলাকায় ছাত্র-জনতার অবস্থানকে লক্ষ্য করে তারা গুলিবর্ষণ করে। অয়ন ওসমানের গুলিতে আহত হন আবুল হাসান সজনসহ অনেকে। আহতদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান আবুল হাসান সজনের অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৬ আগস্ট তার মৃত্যু হয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ছাড়াও মামলার অপর আসামিরা হলেন—সাবেক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল, আজমেরী ওসমান, অয়ন ওসমান, শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটু, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, নারায়ণগঞ্জ শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ আলী রেজা উজ্জ্বল, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রাসেল, নাসিকের প্যানেল মেয়র আব্দুল করিম বাবু, ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না, ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনির, ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, ৮নং ওয়ার্ডকাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা, মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন, গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফজর আলী, বক্তাবলী ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলী, কাশিপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম সাইফুল্লাহ বাদল ও বন্দরের খান মাসুদসহ ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।