সাভারে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, থমকে গেছে উৎপাদনের চাকা
বৈষম্যের বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন সাভারে ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ডিইপিজেড) শ্রমিকরা। শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে একযোগে বন্ধ হয়ে গেছে ডিইপিজেডের সবক’টি কারখানার উৎপাদন। পাশাপাশি শ্রমিক অবরোধের মুখে বন্ধ রয়েছে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক। এমন পরিস্থিতিতে গভীর অনিশ্চয়তায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা।
শ্রমিক বিক্ষোভ এবং মহাসড়ক অবরোধ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাভারের আশুলিয়ায় ডিইপিজেড বিদেশি, যৌথ এবং দেশীয় বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠিত ৮৬টি শিল্প কারখানায় কাজ করেন প্রায় লক্ষাধিক শ্রমিক।
কর্মস্থলে বঞ্চনা এবং বৈষম্যের প্রতিবাদে গত তিন দিন ধরেই উত্তেজনা বিরাজ করছে এই শিল্পাঞ্চলে।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, বিদেশি বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠিত অধিকাংশ কারখানায় শতভাগ নারী শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানো হয়। নারী-পুরুষের সমতায় সেখানে অর্ধেক পুরুষ শ্রমিক নেওয়ার দাবি করেছেন তারা।
শ্রমিকদের দাবি, দেশের ইপিজেডগুলোতে ৬০ বছরের ওপরে যে ৩০ ভাগ লোক কাজ করে, নতুন কর্মসংস্থান তৈরিতে তাদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাতে হবে।
কারখানাগুলোতে তিন শিফটের পরিবর্তে দুই শিফটে কাজ করানোসহ ডিইপিজেডের জেনারেল ম্যানেজারের পদত্যাগের দাবিতে আজ সোমবার (১৯ আগস্ট) সকালে কাজে যোগ না দিয়ে ডিইপিজেডের প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ করেন তারা।
বিক্ষোভের একপর্যায়ে শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করলে বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল। সড়কে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। ভোগান্তির মুখে পড়েন অফিসগামীসহ বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী এবং শিল্প পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। তবে শ্রমিকরা নিজেদের দাবিতে অনড় অবস্থানের কথা জানালে তাদের শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান পুলিশ কর্মকর্তারা।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, ‘শ্রমিকদের শান্ত রাখার চেষ্টা চলছে। আলোচনার মাধ্যমে তাদের দাবি পূরণের কথা বলা হয়েছে। আমাদের আহ্বানের শ্রমিকরা সাড়া দিলে আশা করি আলোচনার মাধ্যমে শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবিগুলো নিষ্পত্তি করা যাবে।’
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আন্দোলনের মুখে বন্ধ রয়েছে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল।