বহাল তবিয়তেই আছেন ইয়াফেস ওসমানের প্রিয়ভাজনরা
বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টসে (বিআরআইসিএম) বহাল তবিয়তেই আছেন টানা ১৬ বছর মন্ত্রীত্বে থাকা (বর্তমানে পলাতক) ইয়াফেস ওসমানের প্রিয়ভাজনরা। উচ্চপদের দখলে আছেন অনিয়ম-দুর্নীতি, ভুয়া পিএইচডি অর্জন, নিয়োগ–বাণিজ্য, স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগে অভিযুক্তরা। তাদের মধ্যে অন্যতম বিআরআইসিএম মহাপরিচালক মালা খান। এবার তার পদত্যাগের দাবি উঠেছে।
আজ সোমবার (১৯ আগস্ট) প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা–কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালনের পাশাপাশি বিক্ষোভ করছেন। কর্মবিরতিতে যাওয়া কর্মকর্তা–কর্মচারীরা মালা খানের বিরুদ্ধে নিজের নিয়োগে অনিয়ম দুর্নীতি, ভুয়া পিএইচডি অর্জন, নিয়োগ–বাণিজ্য, স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ এনেছেন। তাঁদের অভিযোগ, মালা খান জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েছেন। তাঁর পিএইচডি ডিগ্রির বৈধতা নিয়েও প্রশ্নবিদ্ধতা রয়েছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে টানা ১৬ বছরের মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান পরিত্যাক্ত হওয়ার পরেও প্রিয়ভাজনরা এখনও বিসিএসআইআর এ উচ্চপদে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। ইয়াফেমের ছেলে নাজিম জামান ২০১০ সালে সরকারি প্রকল্পে অস্থায়ী ভিত্তিতে যোগদান করেন। পরবর্তীতে জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানীদের সরিয়ে প্রকল্প পরিচালকের পদ বাগিয়ে নেন। তার বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়াতে কোটি কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এসব তথ্য জানা সত্বেও ব্যবস্থা না নিয়ে ছেলেকে সহযোগিতা করেছেন ইয়াফেস।
কর্মচারদের অভিযোগ ও নথি থেকে জানা গেছে, ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত সাবেক মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, ছেলে ড. নাজিম জামানের সহায়তায় এবং সরকারি অর্থায়নে দুর্নীতির মাধ্যমে বছরে একাধিকবার অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ করেন। পুরস্কার স্বরূপ যোগ্যতা না থাকা স্বত্বেও বিসিএসআইআরে তার চেয়ে ১৬ বছরের সিনিয়র বিজ্ঞানীদের বঞ্চিত করে তাকে সিনিয়ারটি লিস্টের এক নম্বরে উঠিয়ে দেওয়া হয়।
বিসিএসআইআর এর বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন সময় এসব অপরাধের প্রতিবাদ জানালেও বিভিন্নভাবে বিসিএসআইআর কর্মরত বিজ্ঞানীদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে। কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ইয়াফেস ওসমান বিসিএসআইআরের নাজিম জামান, বিআরআইসিএমের ডিজির পদ বাগানো মালা খান এবং চট্টগ্রাম কলেজ থেকে পড়েও আব্দুস সালাম ইঞ্জিনিয়ার সেজে সরকারের পদ জবর দখল করেন। মন্ত্রীর আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে তারা বারবার উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে সিন্ডিকেটের গড়ে লুটপাট করেছেন। তাদের সব অনিয়ম তদন্তের দাবি উঠেছে।
এ বিষয়ে এনটিভির পক্ষ থেকে মালা খানকে মুঠোফোনে কল করা হয়। তিনি এখন কথা বলতে পারবেন না বলে কেটে দেন।