এবার দুর্গাপূজায় সর্বোচ্চ বরাদ্দ, থাকবে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকারিভাবে চার কোটি টাকা ও প্রতিটি মণ্ডপের জন্য সাতশ কেজি করে চাল বরাদ্দ করা হচ্ছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের স্বাচ্ছন্দ্যে পূজা উদযাপনে সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি পূজামণ্ডপগুলোতে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর ও সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ, ঢাকা মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব ও সাধারণ সম্পাদক ড. তাপস পাল উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। উৎসবমুখর পরিবেশে যেন দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হতে পারে, সে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে যাতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পূজা উদযাপন করতে পারে, সেজন্য অসচ্ছল মন্দিরসমূহের অনুকূলে এবার প্রধান উপদেষ্টার তহবিল থেকে বরাদ্দ দ্বিগুণ করে ৪ কোটি টাকা করা হয়েছে।
নির্মাণকালে নিরাপত্তা ও পূজামণ্ডপে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, পূজামণ্ডপসমূহকে আইপি ক্যামেরার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ইউএনও অফিস ও থানা কর্তৃক মনিটরিং করা, সার্বক্ষণিক মনিটরিং/সেবা প্রদানের জন্য জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ বিশেষ টিম গঠন করা, স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া, সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও র্যাবের টহল নিশ্চিত করা, দুর্গাপূজা চলাকালীন পূজামণ্ডপ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ, সাদা পোশাকে পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা, পূজা উদযাপনকালে প্রতিটি পূজামণ্ডপে আনসার ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত রাখা, সীমান্ত এলাকায় স্থাপিত পূজামণ্ডপসমূহের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিজিবি কর্তৃক সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।