আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দিনাজপুরে মামলা হয়েছে। এ মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমসহ ৫৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।

গত শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে দিনাজপুরের কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন শহরের রাজবাটী এলাকার বাসিন্দা ফাহিম ফয়সাল।  

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন—দিনাজপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইমদাদ সরকার, সাধারণ সম্পাদক ও শেখপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শেখ মোহাম্মদ শাহ আলম, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নওশাদ ইকবাল কলিন্স, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চন, চেহেলগাজী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জর্জিস সোহেল, শশরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোকসেদ আলী রানা, আউলিয়াপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, দিনাজপুর পৌরসভার সাবেক কমিশনার জিয়াউর রহমান নওশাদ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক কোষাধ্যক্ষ জায়েদী পারভেজ অপূর্ব, শহর যুবলীগের সভাপতি আশরাফুল আলম রমজান, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দীন, জেলা আওয়ামী লীগ কোষাধ্যক্ষ সুমনসহ ৫৯ জন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশনায় দিনাজপুর সদর হাসপাতালের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর বন্দুকসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করা হয়। এ সময় আসামি শাহ আলম, নওশাদ ইকবাল কলিংস, রমজান, সালেকীন রানা, আব্দুল্লাহ আল আমিন সৌরভ, জিল্লুর তাদের হাতে থাকা পিস্তল-বন্দুক থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন। এতে মামলার বাদী ফাহিম ফয়সালের মুখ, বুক, হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লাগে। পরে তাকে উদ্ধার করে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুচিকিৎসায় প্রাণে বেঁচে ফিরেন তিনি।