আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ১৪ আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ১৪ আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার (২ অক্টোবর) রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের (তাজহাট) বিচারক মো. আসাদুজ্জামান তাদের বিদেশ যাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। আজ বৃহস্পতিবার এ মামলার প্যানেল আইনজীবী অ্যাডভোকেট রোকনুজ্জামান রোকন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওই ১৪ আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেছিলেন।
বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন—রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, বেরোবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম মাহফুজ, দপ্তর সম্পাদক বাবুল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ধনঞ্জয় কুমার টগর, তাজহাট থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম, বেরোবি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতি ভূষণ, বেরোবির সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মন্ডল, সহযোগী অধ্যাপক মশিউর রহমান, প্রক্টর অফিসের কর্মকর্তা রবিউল হাসান রাসেল, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন, সহকারী পুলিশ কমিশনার আল ইমরান হোসেন, সহকারী পুলিশ কমিশনার আরিফুজ্জামান ও বেরোবি ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া।
গত ১৮ আগস্ট শহীদ আবু সাঈদের ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে মোট ১৭ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) তদন্তাধীন রয়েছে।
১৭ জন আসামির মধ্যে এএসআই আমির আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ ছাড়া অপর আসামি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।
এজাহারনামীয় অপর ১৪ জন আসামি বিচার এড়াতে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন এই আশঙ্কায় দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন জানানো হয়। গতকাল বুধবার আদালতের বিচারক নিষেধাজ্ঞা জারির আদেশ দেন।
গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেটের সামনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক ছিলেন।