নেত্রকোনায় অতিবৃষ্টি-পাহাড়ি ঢলে বন্যার শঙ্কা
নেত্রকোনায় তিন দিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জেলার প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। জেলার কলমাকান্দায় উপদাখালি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই আর কংসের পানি বিপৎসীমা অতিক্রমের অবস্থায় আছে। এতে আবারও বন্যার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সারোয়ার জাহান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নেত্রকোনার জারিয়া-জাঞ্জাইল পয়েন্টে ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টি ও দুর্গাপুরে ১৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এতে জেলার সোমেশ্বরী, উব্ধাখালি, কংস, ধনু ও মগড়া নদীর পানি বেড়ে চলেছে।
সারোয়ার জাহান আরও জানান, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ উপদাখালি নদীর পানি বেড়ে কলমাকান্দা পয়েন্টে বিপৎসীমার শূন্য দশমিক শূন্য ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বইছে। কংশ নদের পানি বেড়ে জারিয়া-জাঞ্জাইল পয়েন্টে বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৫৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বইছে। আজও বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় বিপৎসীমা ছাড়িয়ে তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়তে পারে।
এই নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, সোমেশ্বরীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে দুর্গাপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার তিন দশমিক ৩৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও হাওরের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া ধনু নদের পানি বেড়ে খালিয়াজুরী পয়েন্টে বিপৎসীমার দুই দশমিক শূন্য দুই সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বইছে।
নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস বলেন, অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে হঠাৎ করে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। খবর পেয়ে আমি দূর্গাপুর উপজেলার কাঁকরগড়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেছি। স্থানীয়রা বলেছেন আর বৃষ্টি না হলে পানি নেমে যাবে। এ সময় কিছু নিচু এলাকার মানুষ যাদের বাড়িঘরের আশপাশে পানি ঢুকেছে তাদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া দুর্গাপুর এবং কলমাকান্দা উপজেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।