আশুলিয়ায় পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ, যানজট-ভোগান্তি
বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়া ও বকেয়া বেতনের দাবিতে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার বাইপাইলে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকরা। অবরোধের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে ঢাকা টাঙ্গাইল বাইপাইল আব্দুল্লাহপুর মহাসড়কে যান চলাচল। এর প্রভাব পড়েছে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কেও।
অবরোধের মুখে মহাসড়কে আটকে পড়েছে যানবাহন। উভয় পাশে প্রায় ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ হয়েছে যানবাহনের সারি। এতে চরম ভোগান্তির মুখে পড়ে সড়ক ব্যবহারকারীরা।
অবরোধের বিষয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিল্পপুলিশ আশুলিয়া জোনের পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম।
দুই মাসের ৮টার দিকে বার্ডস গ্রুপের শ্রমিকরা কারখানার সামনে বেতন ও বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে আশুলিয়ার ইউসুফ মার্কেট ইয়ারপুরে জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমিটেডের শ্রমিকরা সকাল থেকেই জমায়েত হন কারখানা সামনে।
কারখানার সামনে বিক্ষোভ এবং কিছু সময় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শ্রমিকরা। মিছিলটি বাইপাইল পয়েন্টে পৌঁছে শ্রমিকরা অবরোধ করলে বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা-টাঙ্গাইল এবং বাইপাইল আব্দুল্লাহপুর মহাসড়কে যান চলাচল। এর প্রভাবে ঢাকার মহাসড়ক কেউ তৈরি হয় তীব্র যানজটের।
খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ করলেও তাতে সায় দেননি শ্রমিকরা।
শ্রমিকদের অনড় অবস্থানের মুখে এক পর্যায়ে শিল্প পুলিশ ও সেনার সদস্যরা নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান নেন।
শ্রমিকরা জানান, দুই বেতন বকেয়া থাকায় তারা বাড়ি ভাড়াসহ মুদি দোকানদারের টাকা পরিশোধ করতে পারছেন না। অনেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
এমন পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষকে বেতন প্রদানে বাধ্য করার লক্ষ্যে তারা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন।
শ্রমিকরা জানান, “এর আগে, সার্ভিস বেনিফিট ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে বার্ডস গ্রুপের শ্রমিকরা লাগাতার অবরোধ করলে টানা ৫২ ঘণ্টা বন্ধ থাকে মহাসড়কে যান চলাচল। এমন পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ মালিককে কারখানায় ধরে এনে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের উদ্যোগ নেয়। তাদের দেখাদেখি আমরাও অবরোধ কর্মসূচি পালন করছি।”
অবরোধের বিষয়ে শিল্পপুলিশ আশুলিয়া জোনের পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম জানান, ৫ আগস্টের পর দাবি আদায়ে মহাসড়ক অবরোধ করাটাই নিয়মে পরিণত হয়েছে। আমরা শ্রমিকদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি। তারা কর্ণপাত করছেন না। যাত্রীদের ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনা এনে অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেছেন সেনা সদস্য রাও। তাতেও সায় দেয়নি শ্রমিকরা।
এমন পরিস্থিতিতে আমাদের ধৈর্য ধারণ করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলছিল।