কিশোরগঞ্জের চন্দন টানা চতুর্থবার মার্কিন সিনেটর নির্বাচিত
টানা চতুর্থবারের মতো মার্কিন সিনেটর নির্বাচিত হয়েছেন কিশোরগঞ্জের কৃতী সন্তান শেখ মুজাহিদুর রহমান চন্দন। গত মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে তিনি জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের ডিস্ট্রিক্ট-ফাইভ আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী লিসা ব্যাবেজের চেয়ে ৭০ শতাংশ বেশি ভোট পেয়েছেন চন্দন। এর আগে একই নির্বাচনি এলাকা থেকে আরও তিনবার সিনেটর নির্বাচিত হন তিনি। প্রথম বাংলাদেশি আমেরিকান ও জর্জিয়ার প্রথম মুসলিম আইনপ্রণেতা তিনি।
শেখ মুজাহিদুর রহমান চন্দন কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুরের সরারচর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮১ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যান। জর্জিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ৬৩ বছর বয়সী চন্দন সরারচর এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা নজিবুর রহমানের সন্তান এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সহসভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান ইকবালের বড় ভাই। তিন ভাই ও চার বোনের মধ্যে তিনি মেজ।
চন্দনের এমন বিজয় ও সাফল্যে জর্জিয়া প্রবাসী বাংলাদেশির পাশাপাশি তাঁর জন্মস্থান বাজিতপুরের মানুষের মধ্যে আনন্দ-উল্লাস ছড়িয়ে পড়েছে।
চন্দন টানা চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হয়ে ভোটারসহ প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া মাতৃভূমি বাংলাদেশের মানুষের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সবার ভালোবাসা ও সহযোগিতায় বহুজাতিক সেতুবন্ধনের একটি সমাজে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে বিজয়ী হয়েছি।’ এমন নিঃশর্ত ভালোবাসা ও সমর্থন পেয়ে আরও সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
চন্দন নির্বাচিত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় তাঁর ছোট ভাই জেলা বিএনপির সহসভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল বলেন, তিনি নির্বাচিত হওয়ায় শুধু আমি ও আমার পরিবার নয়, পুরো বাজিতপুরবাসী আনন্দিত ও গর্বিত। আমার মা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনিও ছেলের বিজয়ে অত্যন্ত আনন্দিত ও সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করেছেন।
বাজিতপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র এহসান কুফিয়া তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, শেখ মুজাহিদুর রহমান চন্দনের এমন সাফল্যে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। এটা দেশের মানুষের জন্য সম্মানজনক।