শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন ১৭ ডিসেম্বর
জুলাই-আগস্টে হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
আজ সোমবার (১৮ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
চিফ প্রসিকিউটর জানান, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার অভিযোগের মামলায় সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৩ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এদিন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুই মাস সময় চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক এক মাস সময় মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির জন্য ১৭ ডিসেম্বর দিন নির্ধারণ করেন।
এর আগে, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রথমবারের মতো ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব ও সাবেক একজন বিচারপতিসহ ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। সকাল ১০টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তাদের হাজির করা হয়। এদিন রিমান্ডে থাকায় সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাককে হাজির করা হয়নি।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যাদের তোলা হয়, তারা হলেন—সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, ডা. দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জুনাইদ আহমেদ পলক, তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাংগীর আলম। তারা সবাই বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।
এর আগে গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। শুনানি নিয়ে দুটি পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গণহত্যার অভিযোগে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে শেখ হাসিনাকে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে গ্রেপ্তার করে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।