নাগরিক কমিটির সমাবেশে বরিশালে হামলার অভিযোগ
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বরিশালে জাতীয় নাগরিক কমিটির আলোচনা সভায় ‘আওয়ামী লীগ সরকার বারবার দরকার’ স্লোগানের জেরে ‘জিয়ার সৈনিক’ স্লোগান দিয়ে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে নগরীর বিবির পুকুরের দক্ষিণ পাড়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনের সড়কে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযোগে জানা গেছে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে এই হামলা চালিয়ে সভা পণ্ডের পাশাপাশি চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় একজন যুগ্ম সদস্য সচিবসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।
এই হামলায় বরিশালের যুবদল ও কৃষক দলের নেতাকর্মীরা জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন নাগরিক কমিটির নেতারা। হামলার পর নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আহতরা হলেন নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব মাহমুদা মিতু, হামজালাল, রুমানা বেগম, জি এম মেহেদী হাসান ও মো. আসিফ।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ‘জিয়ার সৈনিক এক হও, লড়াই করো’ স্লোগান দিতে দিতে একদল লোক মিছিল নিয়ে হেমায়েত উদ্দিন রোড দিয়ে বিবির পুকুর পাড়ের আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের দিকে আসে। তখন কার্যালয়ের সামনের সড়কে জাতীয় নাগরিক কমিটির সভা শুরু হয়েছে মাত্র। তখন তারা চেয়ার ভাঙচুর, ব্যানার ছিড়ে ফেলে। এ সময় তারা অশ্রাব্য ভাষা প্রয়োগ করে কয়েকজন নেতাকর্মীকে মারধর করে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির বরিশাল মহানগরের সংগঠক সাজ্জাদুর রহমান শাকিল মৃধা বলেন, পুলিশের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিয়ে সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সভা চলাকালে আমাদের আওয়ামী দোসর আখ্যা দিয়ে হামলা চালানো হয়। এ সময় আমাদের পাঁচ নেতাকর্মী আহত হন। এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচার দাবি করছি।
জাতীয় নাগরিক কমিটির একাধিক নেতা বলেন, যুবদল ও কৃষক দলের নেতাকর্মীরা এসে হামলা-ভাঙচুর করে। এ সময় সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা মিতু বাধা দিতে গেলে তাকেও মারধর করে পুকুরে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়। তখন উপস্থিত লোকজনের বাধার মুখে তা সম্ভব হয়নি।
বরিশাল মহানগর কৃষক দলের সদস্য সচিব সাঈদ তালুকদার বলেন, মিছিল নিয়ে ঘটনাস্থল দিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন ওই সভা থেকে ‘আওয়ামী লীগ সরকার, বারবার দরকার’ বলে স্লোগান দেওয়া হচ্ছিল। এমন স্লোগানে আমাদের কর্মীরা কিছুটা উত্তেজিত হয়ে যায়। তখন সামান্য অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। আমরা কর্মীদের শান্ত করেছি। বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি তাঁর।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় পরবর্তীতে আইনানুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।