মেক্সিকোর সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করতে চান রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল
মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেছেন, দুদেশের মধ্যে সহযোগিতার বিস্তৃত ক্ষেত্র অনুসন্ধানের পাশাপাশি উত্তর আমেরিকার এই দেশটির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে সম্প্রসারণে তিনি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবেন। তিনি বলেন, মেক্সিকোর সঙ্গে বাণিজ্যের পরিমাণ আরও বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।’
দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ বর্তমানে প্রায় ৬৭ কোটি ৪৬ লাখ ডলার বলেও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত। আজ সোমবার (১৩ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিক্যাব) লাউঞ্জে চা পান ও ডিক্যাব সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল বলেন, মেক্সিকোতে বাংলাদেশকে তুলে ধরার জন্য অনেক কিছু করার আছে। আমি বিশ্বাস করি, এ লক্ষ্যে কাজ করার বিশাল সুযোগ রয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কাজ করা তার জন্য অত্যন্ত সৌভাগ্য ও সম্মানের। তিনি আমার ওপর যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছেন ‘তার প্রতি যথাযথ সম্মান দেখাতে আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব।
নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস তার 'এ ওয়ার্ল্ড অব থ্রি জিরোস : দ্য নিউ ইকোনমিকস অব জিরো পোভার্টি, জিরো আনইম্পলয়মেন্ট অ্যান্ড জিরো নেট কার্বন এমিশন' বইয়ে উদীয়মান নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার রূপকল্প তুলে ধরেছে।
রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল বলেন, ড. ইউনূসের 'থ্রি জিরো' ভিশন এবং সামাজিক ব্যবসার পক্ষে ব্যাপক প্রচারণা চলছে।
এর আগে ডিক্যাব সভাপতি এ কে এম মঈনউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুজ্জামান মামুন সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে রাষ্ট্রদূত মুশফিককে ডিক্যাব লাউঞ্জে স্বাগত জানান।
২০২৪ সালের অক্টোবরে তিন বছরের জন্য সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় সাংবাদিক মুশফিকলকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্মের চার বছর পর ১৯৭৫ সালের ৮ জুলাই বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৩ সালের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর নিজ নিজ রাজধানীতে আবাসিক মিশন ছিল না।
মেক্সিকোর সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার লক্ষ্যে ২০১৩ সালের জুন মাসে মেক্সিকো সিটিতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশন চালু করে বাংলাদেশ। মেক্সিকো এখনও ঢাকার একটি আবাসিক মিশনের সঙ্গে সাড়া দেয়নি। নয়াদিল্লিতে বসবাসকারী মেক্সিকোর রাষ্ট্রদূত একইসঙ্গে বাংলাদেশে কর্মরত।