কাওরানবাজারে সড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, যানজট
বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সির অবহেলায় মালয়েশিয়া যেতে না পারায় রাজধানীর কাওরানবাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন প্রবাসী শ্রমিকেরা। এতে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে সেখানে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
তাদের সমস্যার দ্রুত সমাধানে সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়ে বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তারা রাস্তায় নামেন। এতে কারওয়ানবাজারহ আশপাশের এলাকার গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফার্মগেট, বাংলামোটর ও পান্থপথ এলাকা যানজটে স্থবির হয়ে পড়ে। পথচারী ও অফিসগামী মানুষ আটকা পড়ে যান।
ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আনোয়ার কবির বলেন, তাদের বুঝিয়ে এখান থেকে উঠিয়ে দেওয়ার পর দুপুর ১২টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে। পরে মিছিল নিয়ে ইস্কাটন গার্ডেনে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দিকে যান তারা। বিকাল ৩টা পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা।
মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা কাছ থেকে কোনো আশ্বাস পাওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তারা। এ ঘটনায় দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করতে সরকারের কাছে দাবি জানান প্রবাসীরা।
তাদের অভিযোগ, প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শেষ করলেও প্রায় ১৮ হাজার কর্মী ফ্লাইট সংকটের কারণে গত বছরের ৩১ মের মধ্যে মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি। মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেওয়া নির্ধারিত সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ায় এখন তাদের কাজে যোগদানের নিশ্চয়তা মেলেনি।
গেল ৫ অক্টোবর প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, এরআগে নির্ধারিত তারিখে মালয়েশিয়া যেতে পারেননি এমন ১৮ হাজার শ্রমিককে নিতে রাজি হয়েছে দেশটি।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকালে প্রবাসী কল্যাসচিব রুহুল আমিন জানিয়েছেন, ভিসা থাকার পরও মালয়েশিয়া যেতে না পারা ১৮ হাজার কর্মীকে আগামী মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে পাঠানোর চেষ্টা চলছে।
প্রবাসী শ্রমিকদের দাবির মধ্যে রয়েছে, যেসব কর্মী নির্ধারিত সময়ে যেতে পারেননি, তাদের দ্রুত মালয়েশিয়ায় পাঠানোর দিন-তারিখ নির্ধারণ করতে হবে। যাদের ই-ভিসা হয়েছে কিন্তু জনবল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি এবং যাদের সব প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে, তাদের সবাইকে মালয়েশিয়া পাঠাতে হবে। ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আটকে থাকা সব কর্মীকে পাঠানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। প্রবাসী কর্মীদের কল্যাণে একটি রেমিট্যান্স ফাউন্ডেশন গঠন করার দাবিও জানিয়েছেন তারা।