৫ আগস্ট যেভাবে ‘৩৬ জুলাই’ হলো
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/05/bangladeshunreststudents_2.jpg)
উত্তাল পুরো দেশ। ছাত্র-জনতার আন্দোলন তখন শুধু তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসের ৩১ দিন পেরিয়ে চলে আসে আগস্ট। অবশেষে গণ-আন্দোলনের মুখে পতনের সময় ঘনিয়ে আসে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের। ৫ আগস্ট (সোমবার) দুপুরে ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়। সেনাপ্রধানের কথায় স্পষ্ট হয় শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের কথা। সঙ্গে সঙ্গে সমগ্র দেশের ছাত্র-জনতা ফেটে পড়ে খুশি ও উচ্ছ্বাসে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখা হতে থাকে, ‘স্বাধীনতার দিন। ৩৬ জুলাই।’
ক্যালেন্ডারের হিসেবে সেদিন ছিল ৫ আগস্ট। তাহলে ৩৬ জুলাই কেন? আন্দোলনকারীরা বলেন, আন্দোলন চলেছে সমগ্র জুলাই মাসজুড়ে। জুলাইয়ের প্রথম দিকে শুরু হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন। এই কোটা সংস্কার আন্দোলন নানা সময়ে বিভিন্ন দফায় চলেছে। শেষ পর্যন্ত যা একদফা দাবিতে রূপ নেয়।
স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার সেই গণ-আন্দোলনে প্রাণ গিয়েছে বহু শিক্ষার্থীর। সেই কারণেই আগস্ট শুরু হলেও নিজেদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আগস্ট মাসের দিনগুলোকেও জুলাই হিসেবে গণনা করছিলেন আন্দোলনকারীরা।
তাদের বক্তব্য ছিল, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শেষ হবে না জুলাই। সেদিক থেকে ৫ আগস্ট, হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর ওই দিনটিকে ৩৬ জুলাই, স্বাধীনতা দিবস হিসেবে উল্লেখ করছেন আন্দোলনকারীরা। এই ৩৬ জুলাই হয়ে রইল বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম তাৎপর্যপূর্ণ দিন।
গত বছরের ১ জুলাই শুরু হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন। আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে ১৬ জুলাই। ছয়জনের মৃত্যু হয়। বিক্ষোভকারীরা ঘোষণা করেন ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি। ২১ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট কোটায় আমূল সংস্কারের কথা ঘোষণা করে। আন্দোলন আরও তীব্র হয় আগস্টের শুরু থেকে। ৫ আগস্ট উত্তাল পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশত্যাগ করেন।