ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানুষের ঢল

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাধারণ মানুষের ঢল নেমেছে। প্রথম প্রহরে প্রধান উপদেষ্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর অন্যান্যদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রাত ১২টা ৪০ মিনিটে সাধারণ মানুষকে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পলাশী মোড় প্রবেশ পথ খুলে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই শহীদ মিনারে মানুষের ঢল নামে। ফুলের ডালা, গাঁদা-গোলাপের মালা আর হাতে হাতে লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে শহীদ বেদীর দিকে এগোতে থাকেন হন হাজারও মানুষ। শিশু থেকে বৃদ্ধ—সবার কণ্ঠে সুর ওঠে, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’।
শহীদ মিনার চত্বরে দেখা গেছে ‘মায়ের ভাষা চিরজীবী হোক’, ‘ভাষা শহীদদের স্মৃতি অম্লান’—এ রকম নানা স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড।
দিবসটিকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন রয়েছে। নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে শ্রদ্ধা জানতে আসারা বলছেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন বাঙালিকে অধিকার আদায় করে নিতে শিখিয়েছে। এজন্য আমরা বাংলাদেশ ও সর্বশেষ আগস্টের ৫ তারিখ স্বৈরাচারমুক্ত দেশ পেয়েছি।
আজিমপুর, কলাবাগান, নিউমার্কেট, মালিবাগ থেকে আসা আরমান বাদল, রফিকুল ও সোহান রহমানদের মতো অনেকে জানান, ১৯৫২ সালে পূর্বসূরীরা ভাষার জন্য জীবন না দিলে আমরা মায়ের ভাষায় কথা বলতে পারতাম না। তাই তারা প্রতি বছরই একুশের প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন। তারা বাংলা ভাষায় কথা বলতে গর্ববোধ করি। ভাষার জন্য যারা জীবন দিয়েছে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মাহিদুল আলম ফাহিম বলেন আমাদের শুধু ২১ ফেব্রুয়ারিতে শহীদদের স্মরণ না করে প্রতিদিনি তাদের স্মরণ করা উচিত। তাদের আত্মত্যাগের কারণে আমরা আমাদের মার্তৃভাষায় কথা বলতে পারছি।