নারী শ্রমিক হত্যার জেরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

সাভারের আশুলিয়া সুবর্ণা আক্তার (৩৫) নামে এক নারী শ্রমিককে কারখানার সামনে থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আরো দুই নারী শ্রমিক আহত হয়েছেন।
গতকাল রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দিনগত ভোররাত ৩টার দিকে আশুলিয়ার তানজিলা টেক্সটাইল কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার জেরে আজ সকাল থেকে দুই ঘণ্টা কারখানার সামনে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শ্রমিকরা।
শ্রমিকরা জানায়, ভোররাত ৩টার দিকে কারখানা থেকে বের হওয়ার সময় একটি অটোরিকশায় পাঁচ নারী শ্রমিককে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এরপর এক নারী শ্রমিককে হত্যা করে সঙ্গে থাকা নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় আহত হন দুই নারী শ্রমিক।
নিহত নারী শ্রমিক সুবর্ণা আক্তারের গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ বলে জানা গেছে। তিনি বাড়ইপাড়া এলাকায় স্বামী-সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় থেকে তানজিলা টেক্সটাইল কারখানায় ফিনিশিং কিউসি পদে চাকরি করতেন। আহত দুজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তবে তারা একই কারখানার শ্রমিক।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, নাইট শিপটে ডিউটি করে রাত ৩টায় পাঁচ নারী শ্রমিককে ছুটি দেয় কর্তৃপক্ষ। পরে কারখানা থেকে বের হয়ে মহাসড়কের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় একটি গাড়িতে জোরপূর্বক ওই পাঁচ শ্রমিককে তুলে নেয় দুর্বৃত্তরা। সকালে কারখানার পাশে রাস্তায় সুবর্ণার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে শ্রমিকরা উদ্ধার করে নিয়ে কারখানার সামনে আসে এবং আহত দুই নারী শ্রমিককে হাসপাতালে পাঠায়। মরদেহ নিয়ে কারখানার সামনের মহাসড়ক বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে তারা। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। একপর্যায়ে শ্রমিকরা মরদেহ নিয়ে কারখানার ভেতরে প্রবেশ করে এবং বিক্ষোভ করতে থাকে।
শ্রমিকরা আরও অভিযোগ করেন, কোন শ্রমিকের কখন ছুটি হবে তা জানতে পারা যায় না। কখনও রাত ২টায় আবার কখনো ৩টায় ছুটি দেওয়া হয়। কখনেও দুজন শ্রমিককে আবার কখনো পাঁচজন শ্রমিককে ছুটি দেওয়া হয়। এটা কারখানার বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার গাফিলতির কারণে হচ্ছে। তাদের চাকরিচ্যুত করার দাবি জানান শ্রমিকরা।
এদিকে, মহাসড়ক অবরোধের খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। দুই ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।