মুন্সীগঞ্জে পরিবেশের ছাড়পত্র না থাকায় সাত টিম্বার্স অ্যান্ড সমিলকে সাত লাখ টাকা ও একটি হিমাগারকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেট। আজ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বেলা ২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত জেলার টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বালিগাঁও বাজারে সমিল ও হিমাগারে অভিযান পরিচালিত হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আওতাধীন পরিবেশের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম।

এ সময় পরিবেশের ছাড়পত্র না থাকায় বালিগাঁও বাজার সংলগ্ন সানফ্লাওয়ার কোল্ড স্টোরেজের স্বত্বাধিকারী মো. মনিরুজ্জামানকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করেন। এ ছাড়া একই বাজার এলাকায় অবস্থিত মামুন সমিলের মালিক নান্নু মিয়া, বাংলাদেশ টিম্বার্স অ্যান্ড সমিলের মালিক আবু জাফর লিটন, মেসার্স আল্লাহর দান টিম্বার অ্যান্ড সমিলের মালিক মো. কামরুজ্জামান, মেসার্স আশরাফ আলী টিম্বার্স অ্যান্ড সমিলের মালিক আশরাফ আলী, সিদ্দিকুর রহমান টিম্বার অ্যান্ড সমিলের মালিক সিদ্দিকুর রহমান, রাজু টিম্বার্স অ্যান্ড সমিলের মালিক বারেক হাওলাদারকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। 

এ সময় একই বাজারের মেসার্স পপুলার টিম্বার্স অ্যান্ড সমিলের মালিক মোহাম্মদ আল-আমিনকেও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু তিনি উপস্থিত না থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে ৪০ দিনের সাজা পরোয়ানা জারি করেন পরিবেশের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র ক্যামিস্ট মো. সানোয়ার হোসেন এবং মুন্সীগঞ্জ পুলিশের একটি বিশেষ টিম।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পরিবেশের (ভারপ্রাপ্ত) বেঞ্চ সহকারী মো. জাকির হোসেন জানান, টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বালিগাঁও বাজারে পরিবেশের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সাতটি সমিলকে সাত লাখ টাকা ও একটি হিমাগারকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় পপুলার টিম্বার মিলের মালিক উপস্থিত না থাকায় ৪০ দিনের সাজা দিয়েছেন বিচারক।