ভাইরাল সেই রনি আবার কারওয়ান বাজারে

তরমুজ বিক্রির সময় ‘ওই কীরে, ওই কীরে, মধু মধু, রসমালাই’—এই হাকঁডাক দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সর্বত্র ভাইরাল হওয়া সেই রনি আবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ফলপট্টিতে ফিরেছেন। আজ শনিবার (২২ মার্চ) তাকে তরমুজ বিক্রি করতে দেখা গেছে।
তরমুজ বিক্রি করতে করতে ভাইরাল হওয়া রনি কম ঝামেলার শিকার হননি। ভাইরাল বিড়ম্বনার পর তাকে কারওয়ান বাজার ছাড়তে বলেছিল অন্য বিক্রেতারা। পরে তিনি গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুরে চলে যান। গ্রামে গিয়ে তিনি অসুস্থ হন। সুস্থতার জন্য দেশবাসীসহ বিশ্ববাসীর কাছে দোয়া চেয়েছিলেন।
রনি এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছিলেন, দ্রুত সুস্থ হয়ে তিনি কারওয়ান বাজারে তরমুজ বিক্রি করতে চান। অবশেষে রনি সুস্থ হলেন এবং তরমুজ বিক্রি শুরু করলেন। তরমুজ বিক্রি করতে করতে রনি আজ শনিবার বললেন, ‘ভালোই বিক্রি হচ্ছে। আগের চেয়ে সুস্থও হয়ে গেছি।’
তবে, আজ বিকেলে যখন রনি তরমুজ বিক্রি করছিলেন তখন অনেক লোকজন ভিড় করছিলেন। রনির তরমুজ বিক্রির দৃশ্য ভিডিও করছিলেন। সে সময় পাশ থেকে আরেক তরমুজ বিক্রেতা বিরক্ত হয়ে রনির উদ্দেশে বলেন, ‘রনি তুই থাক। একা বিক্রি কর। আমরা চলে যাই।’
এরপর আরেক তরমুজ বিক্রেতা বলতে থাকেন, ‘আপনারা (ভিড় জমানো ব্যক্তি) যারা তরমুজ কিনবেন না, তারা চলে যান। আমাদের ঝামেলা করবেন না। রনির দোকানের আওতার বাইরে কেউ দাঁড়াবেন না।’ এরপর কেউ কেউ সেখান থেকে চলে যান।
তবে, এসব কথার দিকে না তাকিয়ে রনি তরমুজ বিক্রি করতে থাকেন। সরেজমিন দেখা গেছে, রনি যখন তরমুজ বিক্রি করছিলেন, তখন একজন ক্যামেরা অন করে রনির কাছে আর্জি জানান তার সেই ভাইরাল ‘ওই কীরে, ওই কীরে, মধু মধু, রসমালাই’ বক্তব্য বলতে বলেন। কিন্তু, রনি তা বলতে চাননি। তাকে রনি বলেন, ‘আর না ভাই, অনেক বলেছি।'
গত ১৯ মার্চ রনি এনটিভি অনলাইনকে বলেছিলেন, আপনাদের ‘সেলিব্রেটি রনি ভাই’ সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। আপনারা আল্লার কাছে দোয়া প্রার্থনা করবেন। আমি সবার ভালোবাসা চাই। দর্শক-ভক্তদের ভালোবাসা চাই। আমি বিশ্বের সবার দোয়া ও ভালোবাসা চাই। টাকা দিয়ে ভালোবাসা পাওয়া যায় না। ভালোবাসা পেতে হয় ভালোবাসার বিনিময়ে। আপনি (প্রতিবেদক) সবার কাছে আমার জন্য দোয়া চাইবেন। চিল্লায়ে চিল্লায়ে তরমুজ বিক্রি করে গলার অবস্থা খারাপ। শরীরটাও খুব খারাপ। দ্রুত সুস্থ হয়ে আমি আবার তরমুজ বিক্রিতে ফিরতে চাই।’