মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদলানো হতে পারে : উপদেষ্টা ফারুকী

সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী জানিয়েছেন, নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদলানো হতে পারে বলে। নতুন নাম নির্ধারণের বিষয়ে আগামীকাল (সোমবার) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বৈঠক হবে। আজ রোববার (২৩ মার্চ) সচিবালয়ে জাতীয়ভাবে বাংলা নববর্ষ এবং চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর নববর্ষ উদযাপন নিয়ে সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।
উপদেষ্টা ফারুকী বলেন, ‘সব জাতিসত্তার অংশগ্রহণে এবারের নববর্ষের শোভাযাত্রায় নতুন রঙ, গন্ধ ও সুর পাওয়া যাবে। এবার চারুকলা থেকে যে শোভাযাত্রা বের হবে সেখানে আপনারা সত্যিকার অর্থেই নতুন জিনিস দেখবেন। নিজেদের চোখেই অনেক পরিবর্তন দেখতে পাবেন।’
তবে কী ধরনের পরিবর্তন দেখা যাবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানান সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা ফারুকী বলেন, ‘এটি সারপ্রাইজ হিসেবেই থাকল। ইটস এ টিজার। যারা অংশগ্রহণ করবেন তারা নিজেরাই নিজেদের চোখে দেখতে পারবেন—পরিবর্তনগুলো কীভাবে ঘটছে।’
সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘আসলেই (শোভাযাত্রায়) নতুন কিছু দেখতে পাবেন। নতুন রঙ দেখবেন, নতুন গন্ধ পাবেন, নতুন সুর পাবেন।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা ফারুকী জানান, ‘নতুন কী নামে শোভাযাত্রা হবে, সেটি আগামীকাল ঢাবিতে আয়োজিত একটি সভায় নির্ধারণ করা হবে।’
এই শোভাযাত্রাটি প্রথমে ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামে শুরু হয়েছিল উল্লেখ করে উপদেষ্টা ফারুকী আরও জানান, পরবর্তীতে নামটি পরিবর্তিত হয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা হিসেবে প্রচলিত হয়েছে। যে নাম একবার পরিবর্তিত হয়েছে, সবাই যদি সম্মত হন তবে আবার পরিবর্তন হতে পারে বলে মত দেন তিনি।
তবে সবাই সম্মত না হলে নাম পরিবর্তন নাও হতে পারে বলেও উল্লেখ করেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা ফারুকী বলেন, ‘এবারের শোভাযাত্রাটি শুধু বাঙালিদের নয়, বরং চাকমা, মারমা, গারোসহ প্রত্যেকেরই হবে। তাই এমন একটা নাম দিতে হবে যেন সেটি সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। বাঙালি বাদে অন্যরা যেন ব্র্যাকেটে না পড়ে যায় সেটি নিশ্চিত করা হবে।’