মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদলে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’

নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে পহেলা বৈশাখে বের করা মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে এই শোভাযাত্রা ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামে পরিচিত হবে।
আজ শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের ওসমান জামাল মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম শেখ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ প্রতি বছর পয়লা বৈশাখে উৎসবমুখর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করে থাকে। এটি দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য বছরের মতো এবারও চারুকলা অনুষদ পয়লা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছে এবং বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আয়োজনের কাজ চলছে।
ঢাবি চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম শেখ বলেন, এবারের নববর্ষ উদযাপন হবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক। একমুখী সংস্কৃতির বদলে আমরা বৈচিত্র্যময় ও সমন্বিত সাংস্কৃতিক চর্চাকে প্রাধান্য দিচ্ছি।
আজহারুল ইসলাম জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরের শোভাযাত্রাটি হবে সর্ববৃহৎ, বর্ণাঢ্য ও জাঁকজমকপূর্ণ। শোভাযাত্রায় বৈচিত্র্য এবং বিভিন্ন জাতিসত্তার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।
২০১৬ সালে ইউনেস্কো ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’কে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করে। এবারের নববর্ষে 'ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান'—এই স্লোগানকে সামনে রেখে শোভাযাত্রা বের হবে বলে জানানো হয়েছে।
পয়লা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান, বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সদস্যসচিব ও চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম শেখ, শোভাযাত্রার উপকমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক এ এ এম কাওসার হাসান, প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ এবং কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি ও উপকমিটিগুলোর সদস্যরা।