আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় খালাস পেলেন বরকত উল্লাহ বুলু

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। আজ মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী সোহানুর রহমান জানান, মামলাটিতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ধার্য ছিল। দুদক ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। পরে আদালত রায় ঘোষণা করেন। আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাকে খালাস দেন।
জানা গেছে, এদিন দুদকের পক্ষে মীর আহাম্মদ আলী সালাম যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন। অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে মর্মে তিনি আসামির সর্বোচ্চ সাজার প্রার্থনা করেন। বরকত উল্লাহ বুলুর পক্ষে আমিনুল ইসলাম যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন। অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি মর্মে তিনি বরকত উল্লাহ বুলুর খালাস চান। পরে আদালত তাকে খালাসের রায় দেন।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ৭ জানুয়ারি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বরকত উল্লাহ, স্ত্রী শামীমা আক্তার এবং ছেলে ওমর শরীফ মো. ইমরানের (সানিয়াত) বিরুদ্ধে দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মনজুর আলম রমনা মডেল থানায় মামলা করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উপায়ে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত চার কোটি ৮৯ লাখ ৬১ হাজার ২১১ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেন। দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে তিন কোটি ৩৭ লাখ ১৪ হাজার ১১৭ টাকার সম্পদের মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন। মামলাটি তদন্ত করে একই বছরের ২০ আগস্ট তদন্ত কর্মকর্তা মনজুর আলম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে উচ্চ আদালত বরকত উল্লাহ বুলুর স্ত্রী ও ছেলের মামলা বাতিল করেন। বরকত উল্লাহ বুলুর বিরুদ্ধে আনা ৫৮ লাখ ৪৬ হাজার ৫৬৩ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলার বিচার চলে। ২০১৮ সালের ১৩ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। বিচার চলার সময় আদালত অভিযোগপত্রভুক্ত ৬৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্য নেন।