চৈত্র সংক্রান্তি আজ

আজ রোববার (১৩ এপ্রিল) বিদায় নিচ্ছে ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। বাংলা বর্ষপঞ্জির শেষ দিন আজ। চৈত্র মাসের শেষ দিন চৈত্র সংক্রান্তি। আবার এটি বাংলা বর্ষ ও বসন্ত ঋতুর শেষ দিনও। পরের দিন সোমবার (১৪ এপ্রিল) উদ্যাপিত হবে পহেলা বৈশাখ-নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩২।
আবহমান বাংলার চিরায়ত নানা ঐতিহ্যকে ধারণ করে আসছে এই চৈত্র সংক্রান্তি। বছরের শেষ দিন হিসেবে পুরাতনকে বিদায় ও নতুন বর্ষকে বরণ করার জন্য প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তিকে ঘিরে থাকে নানা আয়োজন।
রাজধানীতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা আয়োজনে বাংলা বছর ১৪৩১ সনকে বিদায় দিচ্ছে। চারুকলা অনুষদের আয়োজনে চৈত্রসংক্রান্তির অনুষ্ঠান শুরু হবে বকুলতলায় বেলা তিনটায়। চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষ্যে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির আয়োজনে আজ বেলা দুইটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত হবে ‘ব্যান্ড শো ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান’। সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এ আয়োজন।
কথিত আছে চৈত্র সংক্রান্তিকে অনুসরণ করেই পহেলা বৈশাখ উদ্যাপনের এত আয়োজন। তাই চৈত্র সংক্রান্তিও বাঙালির আরেক বড় উৎসব।
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বাংলা বছরের এই দিনটিকে পুণ্য দিন বলে মনে করেন। স্নান, দান, ব্রত ও উপবাসের মধ্যদিয়ে অন্যরকমভাবে চৈত্র সংক্রান্তি পালন করেন তারা। বাড়ির আঙিনায় বা ঘরের বারান্দায় মাঙ্গলিক আলপনা আঁকেন।
বছর বিদায়ের উৎসব পালন করেন ব্যবসায়ীরাও। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয়। আগের পুরোনো সব জঞ্জাল পরিষ্কার করেন তারা। পুরোনো সব হিসাব শেষ করে নতুন হালখাতা খোলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
দেশের বিভিন্ন স্থানে চৈত্র সংক্রান্তির মেলা উপলক্ষ্যে গৃহস্থরা মেয়ের জামাইকে দাওয়াত করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। নতুন পোশাক পরিধানের রীতিও রয়েছে। খাবারেও বিশেষত্ব থাকে চৈত্রসংক্রান্তিতে। আগের দিনে তিক্ত স্বাদের শাক রান্না হতো এই দিনে।