গোপালগঞ্জে নতুন জাতের ব্রি ধান-১০৭, ভাতে মিলবে প্রোটিন

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় নতুন জাতের ব্রি ধান-১০৭ উৎপাদন হয়েছে। সেই ধানের ভাতে মিলবে পর্যাপ্ত প্রোটিন। গোপালগঞ্জ বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে আজ বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। কিন্তু পুষ্টিতে এখনো সম্পূর্ণতা আসেনি। তাই খাদ্যের মাধ্যমে মানুষের দেহের পুষ্টির চাহিদা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা। এরমধ্যে পুষ্টি সমৃদ্ধ প্রিমিয়াম কোয়ালিটির একটি বালাম ধানের জাত ব্রি ধান-১০৭ উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)। এ ধান থেকে তৈরি চালের ভাত খেলেই মিলবে শরীরের প্রয়োজনীয় প্রোটিন।
মাঠ পর্যায়ে সারাদেশে চাষাবাদের জন্য ২০২৪ সালে অবমুক্ত করা হয় উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ প্রিমিয়াম কোয়ালিটির ব্রি ধান-১০৭। এ ধানের চালে অ্যামাইলোজের পরিমাণ শতকরা ২৯.৩ ও প্রোটিনের পরিমাণ ১০.২ ভাগ। এটি একটি উচ্চ ফলনশীল বোরো মৌসুমের জাত।

এছাড়া জাতটিতে রোগ-বালাই ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণ প্রচলিত যে কোন জাতের চেয়ে অনেক কম। ধানটির জীবনকাল ১৪৮ দিন। হেক্টরে এ ধান ৮.১৯ থেকে ৯.৫৭ মেট্রিক টন ফলন দিতে সক্ষম। গোপালগঞ্জের মাঠে ব্রি ধান-১০৭ জাত ৮.৭৫ মেট্রিক টন ফলন দিয়েছে।
কৃষক জেভিয়ার হালদার জানান, আমি কোটালীপাড়া কৃষি অফিসের সহযোগিতা ও নির্দেশনায় ব্রি ধান-১০৭ বপন করি। এ ধান চাষাবাদ করে আমি অধিক ফলন পেয়ে লাভবান হয়েছি। ৫২ শতাংশ জমির ধান কেটে ফসল মেপে দেখেছি অন্যান্য ধানের থেকে আমি উৎপাদন ভালো পেয়েছি। আগামী বছর অনেক কৃষকই এই জাতের ধান লাগানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন।
কোটালীপাড়া উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মনোজ কুমার মৃধা বলেন, এ ধানের আবাদ সম্প্রসারণে কাজ করবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
গোপালগঞ্জ ব্রি, আঞ্চলিক কার্যালয়ের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আমিনা খাতুন বলেন, খোরপোষ কৃষিকে এ ধান বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তর ঘটাবে বলে আমরা আশাবাদী। ধানটির জীবনকাল ১৪৮ দিন। হেক্টরে এ ধান ৮.১৯ থেকে ৯.৫৭ মেট্রিক টন ফলন দিতে সক্ষম। গোপালগঞ্জের মাঠে ব্রি ধান-১০৭ জাত ৮.৭৫ মেট্রিক টন ফলন দিয়েছে। বিশাল জনগোষ্ঠীর পুষ্টিহীনতা দূর করতে এ ধান ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।