বশেমুরবিপ্রবি’র ছাত্রী ধর্ষণ : ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে স্থগিত আন্দোলন
৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে স্থগিত হলো গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে আন্দোলন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হচ্ছে আলটিমেটামের সময় গণনা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র আব্দুল্লাহ আল রাজু গতকাল বুধবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে আন্দোলন স্থগিতদের ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে তিনি জানান, আন্দোলনে তোলা তাঁদের চার দফার আংশিক দাবি এরই মধ্যে পূরণ হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য দাবি পূরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা আশ্বাস দিয়েছেন। আলটিমেটামের ক্ষণগণনার আগপর্যন্ত আগের কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান এ শিক্ষার্থী।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় জাতীয় সংগীত এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ প্রচারের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে গতকাল বুধবার শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রশাসনিক ভবনের নিচে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বিকেল ৫টায় হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে নারী শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করেন। ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরদের পরিবেশনায় বিকাল সাড়ে ৫টায় শহীদ মিনারের পাদদেশে মঞ্চস্থ হয় সমাজের দৃষ্টিকোণ পরিবর্তনে ধর্ষণবিরোধী নাটক। সন্ধ্যা ৭টায় হয় মশাল মিছিল।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) রাত ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে বশেমুরবিপ্রবির ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে উত্তাল হয়ে ওঠে গোপালগঞ্জ। পরদিন ধর্ষকদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষুব্ধ প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী সদর থানা ঘেরাও করেন। অবরোধ করে রাখেন ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক। একই সঙ্গে তাঁরা প্রথমে তিন এবং পরে চার দফা দাবিতে আন্দোলনের নামেন।
একপর্যায়ে স্থানীয় উচ্ছৃঙ্খল যুবকদের হামলা পাল্টা হামলায় পণ্ড হয়ে যায় শিক্ষার্থীদের অবরোধ। ১১ ঘণ্টা পরে সড়কে চলতে শুরু করে যান।
এ ঘটনায় র্যাব ও পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন মোট ১০ জন। এর মধ্যে র্যাবের হাতে আটক ছয় জনই ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছে বলে জানানো হয়।