অসচ্ছল শিল্পী-কলাকুশলীদের পাশে সানী ও খসরু
পরিচালক, শিল্পী ও জ্যেষ্ঠ কয়েকজন কলাকুশলী ছাড়া চলচ্চিত্রের প্রায় সবাই দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কাজ করে থাকেন। করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার বেশ আগে থেকেই চলচ্চিত্রের দৈন্যদশা চলছিল। যে কারণে করোনার প্রকোপ তাঁদের কাছে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা। বর্তমান সময়ে এসব সহকর্মীর পাশে দাঁড়িয়েছেন চলচ্চিত্রের সচ্ছল শিল্পী ও কলাকুশলীরা।
গতকাল রোববার পৃথকভাবে এফডিসিতে শিল্পী ও কলাকুশলীদের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করেন নায়ক ওমর সানী ও প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু।
এ বিষয়ে ওমর সানী বলেন, ‘আমি বেশ কিছু দিন ধরেই বাসায় আছি, কিন্তু আজ (গতকাল রোববার) আর থাকতে পারলাম না। যে মানুষগুলো সারা বছর আমাদের নানাভাবে শুটিংয়ে না খেয়ে সারাক্ষণ আমাদের নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, তাঁদের জন্য আজ অল্প কিছু করলাম। আমি কারো নাম বলে কাউকে ছোট করে দান করতে চাই না।’
ওমর সানী আরো বলেন, ‘আমি যখন তাঁদের হাতে খাবার তুলে দিচ্ছিলাম, তখন নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারিনি। যে সহায়তা করেছি, তার চেয়ে পাঁচগুণ বেশি করলেও হয়তো আত্মতৃপ্তি মিলত না। আমি আমার দেশের বাইরের কিছু বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। যেন তাদের সহযোগিতা নিয়ে কিছু মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারি।’
প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘আমি ধন্যবাদ দিতে চাই মিশন সেফ বাংলাদেশকে। আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলাকুশলীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। আমরা প্রযোজক সমিতির আয়োজনে এরই মধ্যে কয়েকবার শিল্পী ও কলাকুশলীদের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী দিচ্ছি। গতকাল দেওয়া হয়েছে মিশন সেফ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। এটা আসলে একটা চলমান প্রক্রিয়া। বিষয়টি এমন নয় যে, কিছুদিনের মধ্যে আমাদের সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। সামনে আসছে রোজা, তার পর ঈদ। এরই মধ্যে করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমলেও সিনেমার দূরবস্থা কেটে যাবে না। তবে ইনশা আল্লাহ আমাদের কেউ না খেয়ে মারা যাবেন না।’