আইয়ুব বাচ্চুর ‘আকাশে উড়াল’ দেওয়ার ২ বছর আজ

Looks like you've blocked notifications!
বাংলাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু। ছবি : সংগৃহীত

ঠিক কতটা ‘কষ্ট’ ‘ফেরারি মনে’ জমা রেখে ‘রুপালি গিটার’ হাতে মঞ্চে আইয়ুব বাচ্চু গাইতেন ‘আর বেশি কাঁদালে উড়াল দেব আকাশে’? সে কথা বলেননি আইয়ুব বাচ্চু। বলেছেন, ‘কষ্ট পেতে ভালোবাসি’। তবে ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে আইয়ুব বাচ্চু যখন সত্যি-সত্যিই তাঁর ‘রুপালি গিটার’ ফেলে ‘জীবনের গল্পের’ ইতি টানলেন, তখন দেশের সংগীতাঙ্গন থেকে যেন ‘এক আকাশ তারা’ খসে পড়ল।

৫৬ বছর বয়সে আইয়ুব বাচ্চু শেষ করলেন তাঁর ‘হারানো বিকেলের গল্প’। আজ সেই আইয়ুব বাচ্চুর ‘আকাশে উড়াল’ দেওয়ার দুই বছর।

মাত্র ৬০০ টাকা নিয়ে ১৯৮৩ সালে ঢাকায় এসেছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। আর যেদিন ঢাকা থেকে শেষবার চট্টগ্রামের গাড়ি ধরেছিলেন, সেদিন নিয়ে গেছেন ১৬ কোটি মানুষের ‘রক্তগোলাপ’ ভালোবাসা।

‘আগলি বয়েজ’ দিয়ে ব্যান্ড সংগীত শুরু করা আইয়ুব বাচ্চু ২৭ বছরের ক্যারিয়ার শেষ করেছেন ‘এলআরবি’-তে। এর মাঝে ‘ফিলিংস (নগর বাউল)’ ও ‘সোলস’-এর হয়ে গিটার হাতে মঞ্চে উঠেছেন। তারপর ১৯৯১ সালের ৫ এপ্রিল তিনি নিজেই গঠন করেছেন ‘লিটল রিভার ব্যান্ড’, যা পরে ‘লাভ রানস ব্লাইন্ড’ বা ‘এলআরবি’ নামে জনপ্রিয়তা লাভ করে। এর পরের ইতিহাস তাঁর গানের অ্যালবাম ‘আমাদের বিস্ময়’-এর মতো। এলিফ্যান্ট রোডের হোটেলে ঢাকার জীবন শুরু করা চট্টগ্রামের রবিন হয়ে ওঠেন দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিল্পী এবং বিশ্বের অন্যতম সেরা গিটারবাদক।

আইয়ুব বাচ্চু ‘ঘুমন্ত শহরে’ নেই দুই বছর, তবে তাঁর গানের মতো তাঁকে ‘বারো মাস’ ভালোবেসে স্মরণে রাখছে তাঁর ‘ময়না’ ও ‘রিমঝিম বৃষ্টি’রা।