আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবসে তারকাদের শ্রদ্ধা
করোনাভাইরাস মহামারিতে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে লকডাউন চলছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মানুষ ঘরে রয়েছেন। স্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, করোনার সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা জরুরি। কিন্তু জনকল্যাণে ঘরে থাকতে পারছেন না ডাক্তার, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা। একেবারে সামনে থেকে তাঁরা করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রতিবছরের মতো এবারও ১২ মে পুরো বিশ্বে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস। আধুনিক পরিচর্যার প্রতিষ্ঠাতা ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১৯৬৫ সাল থেকে উদযাপন করা হচ্ছে দিবসটি। নিঃস্বার্থ সেবার জন্য এ দিনে বিশ্বের সবাই নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছেন।
পিছিয়ে নেই বলিউড তারকারাও। অভিষেক বচ্চন, কাজল, সঞ্জয় দত্ত, ইয়ামি গৌতমসহ অনেক তারকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নার্সদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন। তাঁদের নিরলস পরিশ্রমের জন্য প্রশংসা করেছেন। ইন্ডিয়া টিভির অনলাইন সংস্করণের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
টুইটারে জুনিয়র বচ্চন একটি সৃজনশীল ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা! হে নায়ক, তোমাদের ধন্যবাদ। আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস।‘
বলিউডের মিষ্টিকন্যা কাজলও নার্সদের ‘নায়ক‘ বলে আখ্যা দিয়েছেন। বলেছেন, তাঁরা নীরবে পৃথিবীকে রক্ষা করে বলেছেন। নার্সসহ সব নায়ককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অজয়পত্নী।
নার্সদের ধন্যবাদ জানিয়ে সঞ্জয় দত্ত টুইটারে লিখেছেন, নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে অনেক মানুষের জীবন রক্ষা করছেন তাঁরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা কাজ করছেন। তিনি স্বাস্থ্যকর্মীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
‘লেডি উইথ ল্যাম্প‘খ্যাত ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল ১৮২০ সালের ১২ মে ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। নার্সিং পেশাকে সমাজসেবায় উন্নীত করেন তিনি। ক্রিমিয়ার যুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন হেড নার্স। ইংরেজ-তুর্কি নির্বিশেষে দু-দেশের আহত মুমূর্ষু সৈন্যদেরই দিনরাত ধরে প্রাণ ঢেলে সেবা করেন তিনি। গভীর রাতে হাসপাতালের করিডোরে রোগীদের প্রয়োজন দেখতে হাতে মোমবাতি নিয়ে তিনি হেঁটে বেড়াতেন। তাই এখনো মানুষ স্মরণে রেখেছেন লেডি উইথ ল্যাম্পকে। ১৮৬০ সালে লন্ডনে বিশ্বের প্রথম বিজ্ঞানসম্মতভাবে তৈরি হয় নার্সিং শেখানোর স্কুল নাইটিঙ্গেল স্কুল অব নার্সিং। এই স্কুল নির্মাণেও তাঁর অবদান ছিল।
বাংলাদেশে ১৯৭৪ সাল থেকে সরকারি ও বেসরকারিভাবে দিবসটি পালিত হচ্ছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় হলো : ‘নার্স ইজ আ ভয়েস টু লিড—নার্সিং ইজ দ্য ওয়ার্ল্ড টু হেলথ‘।