আসিফের পরিকল্পনামতো না হলেও সফল ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’
সংগীতে প্রায় দুই যুগের ক্যারিয়ার। তারকা কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের জনপ্রিয় গানের তালিকা দীর্ঘ হবে, সেটাই স্বাভাবিক। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় গান বা যে গান আসিফকে নাম-খ্যাতি এনে দিয়েছে; সেই গানের কথা যদি বলতে চান, সেটা ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’। ২০০১ সালের আজকের দিনে (৩০ জানুয়ারি) সাউন্ডটেকের ব্যানারে ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’ অ্যালবাম বাজারে আসে।
তথ্য-উপাত্ত বলছে, সে সময় অ্যালবামটি ৬০ লাখ কপি বিক্রি হয়, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আয় করা অডিও অ্যালবাম। অ্যালবামটিতে মোট ১২টি গান ছিল, প্রতিটি গানের কথা ও সুর করেছেন ইথুন বাবু।
আসিফ আকবরের জনপ্রিয়তা বা সফলতা যে অ্যালবামে, সেই অ্যালবামই নাকি তাঁর পরিকল্পনামতো হয়নি। এনটিভি অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন কথা জানিয়েছিলেন এই শিল্পী।
‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’ অ্যালবাম প্রসঙ্গে আসিফ সেই সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আসলে অ্যালবাম নিয়ে অনেক আগে কাজ করার কথা ছিল আমার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত... আমি প্রথমে পণ করেছিলাম, আমি কখনোই নিজের টাকা দিয়ে অ্যালবাম করব না। যখন আমার যোগ্যতা হবে, প্রডিউসার বা কোম্পানি আমাকে ডাকবে... ঠিক ওভাবেই ইথুন বাবু আমাকে ডেকেছিলেন তাঁর অ্যালবাম করতে, সাউন্ডটেকের ব্যানারে। এই... আর আমি যেভাবে প্ল্যান করেছিলাম, অ্যালবামটা সেভাবে হয়নি। তবে যেটা হয়েছে, সেটা আমার প্ল্যানের চেয়ে ভালো হয়েছে। সাউন্ডটেক ও ইথুন বাবুর যথেষ্ট অবদান এখানে আছে।’
আসিফ আরো বলেছেন, ‘ও প্রিয়ার ব্যাপারটা ছিল একটা এক্সপেরিয়েন্স। প্লেব্যাকে এক্সপেরিয়েন্সের ব্যাপারটা ও প্রিয়ার গানগুলোতে পড়েছে। ফিল্মে ২৪টা গান গাওয়ার পর আমি ও প্রিয়া গানটা গাই, অ্যালবামটা করি। বাংলাদেশে যেটা হয়, অ্যালবাম থেকে সিঙ্গাররা আসে, আমার ক্ষেত্রে হয়েছে—আমি প্লেব্যাক থেকে এসেছি। যেটা আমাকে এগিয়ে দিয়েছে কিছুটা।’
আসিফ আকবর কুমিল্লা জেলায় ১৯৭২ সালের ২৫ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। চলচ্চিত্রে তাঁর গাওয়া প্রথম গান ‘আমারই ভাগ্যে তোমারই নাম’।