ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হলেন বিদ্যা সিনহা মিম

Looks like you've blocked notifications!
ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হলেন বিদ্যা সিনহা মিম। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশে ইউনিসেফের নতুন শুভেচ্ছাদূত নিযুক্ত হলেন অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি শেলডনের উপস্থিতিতে এক চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে আনুষ্ঠানিক পথচলা শুরু করেন মিম।

এখন থেকে বিদ্যা সিনহা সাহা মিম বাংলাদেশে ইউনিসেফের জাতীয় দূত হিসেবে আরিফা পারভিন জামান মৌসুমী, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও জুয়েল আইচ এবং বাংলাদেশে ইউনিসেফের ইয়ুথ অ্যাডভোকেট হিসেবে রাবা খানের সঙ্গে যোগ দেবেন ও তাঁদের মতো নিজের জনপ্রিয়তা ও জোরালো কণ্ঠস্বর কাজে লাগিয়ে শিশু অধিকার রক্ষায় কাজ করবেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মিম বলেন, ‌‘সারা দেশে শিশুদের জন্য, তাদের শিক্ষা, সুস্বাস্থ্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে, ইউনিসেফ আমাদের সঙ্গে আছে। আমি দীর্ঘদিন ধরে শিশুদের জন্য ইউনিসেফের কাজে মুগ্ধ। প্রতিটি শিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠায় সেই কাজের অংশ হতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ।’

মিম আরও বলেন, ‘শিশু ও নারীদের অধিকারের জন্য সোচ্চার হওয়া আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব। আমি সেই দায়িত্ব ইউনিসেফের সঙ্গে একত্রে পালন করতে উন্মুখ।’

পেশাগত জীবনে মিম নিজেকে নারীর অধিকারের জন্য একজন অনুপ্রেরণাদায়ী সমর্থক এবং সহিংসতার বিরুদ্ধে শক্তিশালী কণ্ঠস্বর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বাংলাদেশে ইউনিসেফের জাতীয় শুভেচ্ছাদূত হিসেবে মিম শিশুদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করবেন। বিশেষ করে বাংলাদেশে শিশু ও নারীরা যে ধরনের সহিংসতার মুখোমুখি হয়, তার বিরুদ্ধে তিনি ইউনিসেফের পক্ষে কথা বলবেন।

মিম ইতোমধ্যে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করেছেন। মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে তিনি জীবন বাঁচাতে টিকার গুরুত্বপূর্ণ অবদান এবং টিকাদান সেবায় আরও বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে বৈশ্বিক আহ্বানে কণ্ঠ মেলান।

বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন,‘মিম তার অসীম প্রাণশক্তি ও উদ্যম এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে অবহেলিত শিশু ও নারীদের সুরক্ষিত রাখার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি নিয়ে আমাদের সাথে যুক্ত হচ্ছেন। মিমকে সঙ্গে পেয়ে আমরা আনন্দিত এবং প্রতিটি শিশুর অধিকার ও সার্বিক কল্যাণের জন্য তার সঙ্গে কাজ করতে আমরা উন্মুখ।’