ইদানীং ভালো চরিত্রের জন্য অপেক্ষা কিছুটা কমছে : ইমরান
‘কিন্তু মলয় এই কাহিনি এখানে শেষ না, হ্যাঁ...কাহিনি বাকি আছে... দেখি আঙুল সোজা করে ঘি উঠাইতে পারো কিনা। দুইটা জিনিস মনে রাখবা, জীবনে দুইটা জিনিসই সত্য এক কর্ম, দুই কর্মফল; বাকিটা মিলায়ে নিও...।’
জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুণের সদ্য মুক্তি পাওয়া আট পর্বের ‘মহানগর’ ওয়েব সিরিজ যাঁরা দেখেছেন, শেষ অংশের এই সংলাপ মনে থাকার কথা। আরও যেসব মনে থাকার কথা, সেই তালিকার ওপরের দিকে থাকবে সিরিজে সাব ইন্সপেক্টর মলয়ের চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেতাকে। তিনি মোস্তাফিজুর নূর ইমরান।
২০০৭ সালে ‘পাওনাদার’ শিরোনামে একটি টিভি ফিকশন দিয়ে স্ক্রিনে যাত্রা শুরু করেন ইমরান। ২০০৯ সালে এনটিভির সুপার হিরোইন রিয়েলিটি শোর সেরা পাঁচে ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাটক ও নাট্যতত্ত্বে স্নাতক এবং অভিনয়ে স্নাতকোত্তর করা এই অভিনেতা।
পুরো সিরিজে খ্যাতিমান অভিনেতা মোশাররফ করিমের সঙ্গে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন ইমরান। অন্তর্জালেও আলোচনা হচ্ছে যাঁর অভিনয় নিয়ে, সেই মোস্তাফিজুর নূর ইমরানের কাছে যখন জানতে চাওয়া, নিজে কেমন সাড়া পাচ্ছেন? অপর প্রান্ত থেকে মিতভাষী এই অভিনেতার যে উত্তর এলো, সেটা এমন, ‘খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি। দুই দেশ থেকেই। সবাই চরিত্রটি পছন্দ করেছে দেখে ভালো লাগছে।’
সিরিজজুড়ে ওসি হারুন (মোশাররফ করিম) আপনাকে প্রচুর উপদেশ দিল, মনে রেখেছেন তো সে সব...। উত্তর, ‘আশা করি, মলয় সেগুলো মনে রেখেছে।’
মোশাররফ করিমের সঙ্গে এমন একটা চরিত্রে অভিনয় করছেন, বেশ প্রস্তুতি সেরেছিলেন নিশ্চয়ই। তাঁর সঙ্গে কাজের সুবিধা-অসুবিধা কী দেখলেন? মোস্তাফিজুর নূর ইমরানের উত্তর, ‘প্রতিটি চরিত্র করতে করতেই সেই চরিত্রটি আবিষ্কার করতে থাকি। আর কারও সঙ্গে অভিনয়ের সুবিধা বা অসুবিধা কী, সেটা বোঝা যায় তাঁদের সাথে আবার আমি কাজ করতে চাই কি না, তার ওপর। অবশ্যই সেটা আমি চাই। আমি চরিত্রের সাথে থাকতে পছন্দ করি। আর সেটা পরিচালক এবং অন্য চরিত্রগুলোর ওপর ডিপেন্ড করে।’
২০১০ সালে প্রথম সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন মোস্তাফিজুর নূর ইমরান। সেই হিসেবে বেশ লম্বা ক্যারিয়ার। আপনি কি মনে করেন না, উপযুক্ত চরিত্রের অভাবে এত দিন নিজের অভিনয়দক্ষতার প্রমাণ দিতে পারছিলেন না? এনটিভি অনলাইনের এই প্রশ্নে মোস্তাফিজুর নূর ইমরান জানিয়েছেন, ‘আমার করা সব কাজেই আমি শুধু চরিত্রটিকে রূপ দিতে চেয়েছি, আমার অভিনয়দক্ষতা প্রকাশের জন্য নয়। আমি সব কাজই প্রথম আর শেষ কাজ মনে করেই করি। তাই কম করি, বেছে করি। যে চরিত্রটি চ্যালেঞ্জ দেয়, কিক দেয়, সেটাই করি। আর অভিনেতাকে অবশ্যই একটি ভালো চরিত্রের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয়। ইদানীং সেই অপেক্ষা কিছুটা কমছে।’
আলাপচারিতা প্রায় শেষের দিকে। অভিনেতার কাছে সিরিজটির শুটিংয়ের কয়েকটি ছবি চাইলাম। ইমরানের সরল ভাষ্য, ‘আমি তো সেটে ছবি তুলি না, ছবি আমার কাছে নেই।’ বোঝাই গেল, অন্যদিকে মনোনিবেশ নেই তাঁর। যখন শুট করেন, কাজে নিমগ্ন থাকেন। আর তার প্রমাণ তো ‘মহানগর’ দেখলেই মিলবে।