ঋষি কাপুরের মৃত্যুতে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনে শোক
বর্ষীয়ান বলিউড অভিনেতা ঋষি কাপুর (৬৭) মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। দুই বছর ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধের পর মুম্বাইয়ের স্যার এইচএন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন হাসপাতালে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঋষি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
ঋষি কাপুরের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি, পরিচালক সমিতি ও শিল্পী সমিতি। আজ এক শোকবার্তায় প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘বর্ষীয়ান অভিনেতা ঋষি কাপুরের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। শিশুকাল থেকে উনার ছবি আমরা দেখেছি, উদ্বুদ্ধ হয়েছি। আমরা তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।’
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ ও তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করা হয়েছে।
শোক জানিয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ঋষি কাপুরের মতো মানুষ চলে যাওয়া মানে একটি বটবৃক্ষের ছায়া থেকে বঞ্চিত হওয়া। ইরফান খানের মৃত্যুর পরের দিনই ঋষি কাপুরের মৃত্যুর খবরে আমরা বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পী সমাজ শোকাহত।’
গতকালই কোলন ইনফেকশনে আক্রান্ত হয়ে ৫৩ বছরে মারা যান বলিউড অভিনেতা ইরফান খান। আর তার পরদিনই বর্ষীয়ান অভিনেতা ঋষি কাপুরের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিনোদন অঙ্গনে।
শৈশবে অভিনয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন ঋষি কাপুর। তাঁর বাবার ‘মেরা নাম জোকার’-এ (১৯৭০) শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন, যার জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭৩ সালে আইকনিক সিনেমা ‘ববি’-তে অভিনয় করেন ডিম্পল কাপাডিয়ার বিপরীতে। ১৯৭৪ সালে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে পান ফিল্মফেয়ার পুরস্কার। ১৯৭৩ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ৯২টি সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন ঋষি কাপুর।
ঋষি কাপুরকে সর্বশেষ ২০১৯ সালে ‘দ্য বডি’ সিনেমায় দেখা গেছে। দীপিকা পাড়ুকোনের একটি সিনেমার সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন এ অভিনেতা।