এক মুহূর্তের জন্যও ফুটবল হাতছাড়া করছেন না শরিফুল রাজ

Looks like you've blocked notifications!
মঞ্চে ফুটবল হাতে শরিফুল রাজ। ছবি : এনটিভি অনলাইন

ফটোগ্রাফার : ফুটবল ছাড়া কিছু ছবি উঠাই...

‘না, ফুটবল ছাড়া কোন ছবি তোলা যাবে না।’ এমন সোজাসাপ্টা উত্তর সময়ের আলোচিত চিত্রনায়ক শরিফুল রাজের। ২৮ অক্টোবর মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ‘দামাল’ সিনেমার সংবাদ সম্মলেনের দৃশ্য এটি।

পুরো আয়োজনে এক মুহূর্তের জন্যও ফুটবল হাতছাড়া করলেন না নায়ক। এমনকি তাঁর এই ফুটবলটি পাহারা দেওয়ার জন্য আয়োজনে ছিল লোকও।

অতিথি আসন থেকে মঞ্চ, গণমাধ্যমে কথা বলা থেকে আড্ডা; ফুটবল হাতছাড়া হতে দিচ্ছেন না নায়ক। কিন্তু, কেন?

এনটিভি অনলাইনের কাছে শরিফুল রাজের জবাব, ‘১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে গঠিত স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত হয়ছে এ সিনেমা। আমি দেশের পতাকা তুলে ধরেছি শুধু সিনেমায়, আর তখন যোদ্ধারা দেশের পতাকা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছেন। সিনেমায় আমি কতটা ফুটবল প্রেমী সেটা দর্শক দেখেছেন সিনেমার একটি গানে। প্রচারণায়ও সেই প্রেম দেখাতে চাই।’ 

সিনেমার ট্রেইলারে বাই সাইকেল কিক নিয়ে আলোচনায় শরিফুল রাজ। এই কিক কিভাবে সম্ভব হয়েছে সেই গল্পও বলেছেন নায়ক?

গল্পটা রাজের ভাষ্যে এমন, ‘যখন বলল আমরা কি একটা বাইসাইকেল কিক রাখতে পারি? বিষয়টা আমার কাছে নতুন ছিল। পারব কি না কনফিউশনে ছিলাম। আমরা তো অনেকদিন ধরে এই জার্নিটার সাথে ছিলাম। তিন-চার মাস প্র্যাকটিস করেছি। শুটিংয়ে আমি আমার কাজটা করেছি। বাকি কাজটা ছিল আমার টিমের। রাফি সবটা দেখভাল করেছে। সিনেমাটোগ্রাফার দারুণভাবে ক্যাপচার করেছেন। দিন শেষে পর্দায় দৃশ্যটা ভালো আসছে। আমি খুশি।’ 

অতিথি আসনে ফুটবল হাতে শরিফুল রাজ। ছবি : এনটিভি অনলাইন

‘পরাণ’ সিনেমা দিয়ে আলোচনায় থাকা শরিফুল রাজ ও বিদ্যা সিনহা মিম জুটিকে আবার দেখা যাবে এই ‘দামাল’ সিনেমায়। তারকাবহুল এই সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন সিয়াম আহমেদ, সুমিত সেনগুপ্ত, শাহনাজ সুমি, রাশেদ মামুন অপু, বড়দা মিঠু, পূজা এ্যাগনেস ক্রুজ, সামিয়া অথই, সারওয়াত আজাদ বৃষ্টি, কায়েছ চৌধুরী, আজম খান, শায়েদ বাবু, এ কে আজাদ সেতু, সমু চৌধুরী, মিলি বাশার, নাজিফা বাশার, মাজনুন মিজান, সায়ীদ নাজমুল সাকিব, লেনিন, রুবল লোদি, লিমনসহ অনেকেই।

এই সিনেমার পরিশ্রম প্রসঙ্গে সিয়াম আহমেদ জানিয়েছেন , ‘আমি রোজ সকালে যেতাম আমরা মাঠে। রোদের মধ্যে সারাদিন প্র্যাকটিস করতাম আর খেলতাম। এর মধ্য দিয়েই আসলে সিনেমার ফুটেজগুলো বেরিয়ে আসে। তো এভাবে একদিন একটি দৃশ্যে আমি আর রাজ দৌঁড়াচ্ছিলাম মাঠে। দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে আমরা দুজনেই বমি করছিলাম। বাট থামছিলাম না। কারণ, ওটা এক টেকের শট ছিল। থামলেই শট নষ্ট হবে। আবার দিতে হবে পুরোটা। তো পর্দায় কিন্তু সেই দৃশ্যে আমাদের কষ্টটা কেউ দেখবে না। এজন্য বলছি, আপনারা যখন ছবিটা দেখবেন, তখন একটু হলেও টের পাবেন আমরা আসলে শুয়ে-বসে ছবিটা বানাইনি। আমাদের প্রতিটা মানুষের অনেক ঘাম-শ্রম এতে নিবেদিত।’ 

বিদ্যা সিনহা মিম বলেন, ‘আমি তো মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। যুদ্ধের সময়কার ফুটবল খেলাও দেখিনি। কিন্তু সেই সময়ের একটি গল্পে আমি কাজ করতে পেরেছি। এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। যখন আমি এই সিনেমার শুটিং করেছি তখন মনে হতো আসলেই যুদ্ধ হচ্ছে।  সেই সময়টাতেই আছি। খেলা বাদেও এই সিনেমায় অনেক কিছু আছে। আপনার সেটা সিনেমা হলে গেলেই বুঝতে পারবেন।’

শিশুসাহিত্যিক ও ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগরের গল্প থেকে যৌথভাবে এর চিত্রনাট্য করেছেন রায়হান রাফি ও নাজিম উদ দৌলা।