এন্ড্রু কিশোরের শেষ ইচ্ছে
বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের শেষ ইচ্ছে ছিল, মায়ের পাশে যেন তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়। তাঁর সেই ইচ্ছে অনুযায়ী মায়ের পাশে সমাহিত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রয়াতের ভগ্নিপতি ডা. প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাস।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় এই কণ্ঠশিল্পী রাজশাহী মহানগরীর মহিষবাথান এলাকায় বোনের বাসায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।
মৃত্যুর পর বর্তমানে শিল্পীর মরদেহ রাজশাহীর স্থানীয় একটি ক্লিনিকের হিমঘরে রাখা হয়েছে। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাঁকে তাঁর মায়ের পাশে সমাহিত করা হবে। মৃত্যুর আগে এন্ড্রু কিশোর নিজেই বলে গেছেন, তাঁকে যেন মায়ের পাশে সমাহিত করা হয়। সে ইচ্ছে অনুযায়ী সমাহিত করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে দিনক্ষণ এখনো ঠিক হয়নি। প্রয়াতের সন্তানেরা দেশে ফিরলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এন্ড্রু কিশোরের এক ছেলে ও এক মেয়ে। তাঁরা দুজনই অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করছেন। মেয়ে মিনিম এন্ড্রু সংজ্ঞা সিডনিতে গ্রাফিক ডিজাইন আর ছেলে জে এন্ড্রু সপ্তক মেলবোর্নে ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে পড়ছেন। বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁরা দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ডা. প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাস এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাঁকে তাঁর মায়ের পাশে সমাহিত করা হবে। মৃত্যুর আগে এন্ড্রু কিশোর নিজেই বলে গেছেন তাঁকে যেন মায়ের পাশে সমাহিত করা হয়। এটাই ছিল তাঁর শেষ ইচ্ছে। তবে কখন, এটা এখনো ঠিক হয়নি। তাঁর সন্তানেরা দেশে ফিরলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
বিপুল বিশ্বাস বলেন, ‘বাবার শরীরের অবস্থা খারাপ শোনার পর থেকেই তারা দেশের ফেরার চেষ্টা করছে। তবে এখনো তারা আসার জন্য টিকেট পায়নি। ওখানে তাদের পরিচিত কয়েক জনের সঙ্গে কথা হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই তারা টিকেট পেয়ে যাবে বলে আশা করছি। তারা দেশের ফেরার পরেই এন্ড্রু কিশোরের শেষকৃত্যের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
দুদিন ধরে এন্ড্রু কিশোরের অবস্থা ভালো যাচ্ছিল না। সোমবার সকাল থেকে অবস্থার আরো অবনতি হয়। তিনি কথা বলতে পারছিলেন না। ফলে তাঁকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছিল।
বরেণ্য এই শিল্পীর মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই নেতাই শিল্পী এন্ড্রু কিশোরের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সহমর্মিতা দেখিয়েছেন। এই গুণী শিল্পীর মৃত্যুতে বাংলাদেশের সর্বস্তরে গভীর শোক নেমে এসেছে।