করোনায় জন্মদিন বলে কিছু নেই, সব দিন সমান : আনোয়ারা

Looks like you've blocked notifications!
বর্ষীয়ান অভিনেত্রী আনোয়ারার জন্মদিন আজ। ছবি : সংগৃহীত

বর্ষীয়ান অভিনেত্রী আনোয়ারা বেগম মাত্র ১৪ বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেন। নায়িকা হিসেবে রয়েছে সাফল্য। বর্তমানে বেশিরভাগ মায়ের চরিত্রে দেখা যায় তাঁকে। বর্ণাঢ্য অভিনয়জীবনের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ১৯৪৮ সালের আজকের এই দিনে (১ জুন) জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বিশেষ দিনে অগণিত মানুষের শুভেচ্ছাসিক্ত হচ্ছেন এ অভিনয়শিল্পী।

নিজের জন্মদিন প্রসঙ্গে এনটিভি অনলাইনকে আনোয়ারা বলেন, ‘আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন আসলে জন্মদিন পালনের রেওয়াজ ছিল না। তবে চলচ্চিত্রে যখন কাজ শুরু করেছি, তখন শুটিং সেটে জন্মদিন পালন করেছি অনেকবার। সেই স্মৃতিগুলো এখনো চোখের সামনে ভেসে ওঠে। মেয়ে বড় হওয়ার পর সে আয়োজন করত। তবে করোনার এই সময় জন্মদিন বলে আর কিছু নেই। সব দিনই এখন সমান। সবাইকে বলব, আপনারা বাসায় থাকুন, নিজেকে বাঁচান, তবেই বাঁচবে আপনার পরিবার।’

জন্মদিনে করোনাযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন আনোয়ারা। বলেন, ‘গর্বে বুকটা ভরে ওঠে, যখন দেখি ডাক্তাররা নিজের কথা চিন্তা না করে ডিউটি করছে, করোনা রোগীকে সেবা দিচ্ছে নার্স, পুলিশ শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কাজ করছে, সাংবাদিক খবর সংগ্রহের জন্য মাঠে আছে। তাদের ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতে চাই না। তবে মা হিসেবে বলছি, তোমরাও নিজেকে সুরক্ষিত রেখ। কারণ তুমিও কোনো না কোনো মায়ের সন্তান, তোমারও পরিবার রয়েছে।’

ষাট দশকে বাংলা চলচ্চিত্রে আনোয়ারা আসেন নৃত্যশিল্পী হিসেবে। ১৯৬১ সালে ১৪-১৫ বছর বয়সে ফজলুল হকের ‘আজান’ চলচ্চিত্রে প্রথম নৃত্যশিল্পী হিসেবে কাজ করেন। তাঁর অভিনীত প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘নাচঘর’। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৬ সালে তিনি মোট ১৯টি চলচ্চিত্রে বিভিন্ন পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন।

১৯৬৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বালা’ চলচ্চিত্রে নায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন আনোয়ারা। তাঁর তিনটি উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র ১৯৭৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ১৯৮২ মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দেবদাস’ ও ১৯৮৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘শুভদা’।

আনোয়ারা তাঁর প্রায় ৫০ বছরের অভিনয়জীবনে সাড়ে ছয়শর অধিক চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। অসংখ্য মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেছেন ও বেশ কিছু টেলিভিশন নাটকে কাজ করেছেন। ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ (১৯৭৮),‘সুন্দরী’ (১৯৭৯),‘সখিনার যুদ্ধ’ (১৯৮৪),‘শুভদা’ (১৯৮৬),‘মরণের পরে’ (১৯৯০),‘রাধা কৃষ্ণ’ (১৯৯২),‘বাংলার বধূ’ (১৯৯৩) ও ‘অন্তরে অন্তরে’ (১৯৯৪) ছবির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছেন তিনি।

১৯৭২ সালে মুহিতুল ইসলাম মুহিতের সঙ্গে আনোয়ারার বিয়ে হয়। তাঁদের একমাত্র সন্তানের নাম মুক্তি। নাটক-চলচ্চিত্রে অভিনয়শিল্পী হিসেবে পরিচিত মুক্তি।