ক্ষমা চেয়ে ‘ক্ষমতা’ চাইলেন জায়েদ খান

Looks like you've blocked notifications!
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন জায়েদ খান। ছবি : সাইফুল সুমন

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জায়েদ খান বিগত মেয়াদে কিছু ‍ভুল করে থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে বলেছেন। সেই সঙ্গে পুনরায় তাঁর প্যানেলকে নির্বাচিত করে ‘ক্ষমতা’ চেয়েছেন।

আজ রোববার রাজধানীর সামুরাই কনভেনশন সেন্টারে মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান প্যানেলের পরিচিতি সভায় এমন মন্তব্য করেছেন এই চিত্রনায়ক।

অনুষ্ঠানে বেশ আবেগী হয়ে বক্তব্য প্রদানকালে জায়েদ খান বলেন, ‘আমার মা সদ্য মারা গিয়েছেন। বাবাকেও হারিয়েছি অনেক আগে। আমি এখন এতিম। এই শিল্পী সমিতিই এখন আমার সব। সমিতির সদস্যরাই আমার পরিবার। সমিতির সিনিয়র শিল্পীরা আমার বাবা-মা। অনেকগুলো ভালো কাজের ভিড়ে কিছু ‍ভুল থাকতেই পারে সেগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আপনারা। যদি ভালো কাজ করে থাকি আমাকে ভোট দিন। মিশা-জায়েদের পুরো প্যানেলকে জয়যুক্ত করুন।’

আবেগাপ্লুত হয়ে জায়েদ খান আরও বলেন, ‘রাত ১টার সময় আমাকে মার্ডার কেসের আসামি বানানো হলো এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। নায়িকা শিমু মারা গেছে। সেই শিমু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আমাকে জড়িয়ে একটি চক্র বক্তব্য দেওয়া শুরু করে রাতে। রাতেই আমাকে খুনি বানিয়ে দেওয়ার সকল আয়োজন করে ফেলা হয়েছে। শিমুর বাসায় লোক পাঠানো হয়েছে। তারা গিয়ে বলে, আপনারা শুধু একবার বলেন, আপনারা জায়েদ খানকে সন্দেহ করছেন। আপনাদের যা লাগে দেব।’

জায়েদ খান আরও বলেন, ‘আমি জীবনটা দিয়ে দিয়েছি শিল্পীদের পেছনে। বিনিময়ে পেয়েছি মানুষের গালি, অবহেলা। আমাকে খুনি সাজানো হচ্ছে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে।  আমার একটাই বোন, যার কাছে মানুষ হয়েছি সে ক্যানসারে আক্রান্ত। আমি যার কাছে মানুষ হয়েছি। আমার বোন বলল, তুমি এখান থেকে ফিরে এসো। তোমাকে হারাতে চাই না।’

প্যানেলের সব প্রার্থী ও সমর্থকদের নিয়ে অনুষ্ঠানে বিগত দুই মেয়াদে সাধারণ সম্পাদকদের দায়িত্ব পালনকালে শিল্পীদের উন্নয়নে কী কী কাজ করেছেন তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেন জায়েদ খান। বলেন, নেতৃত্বে আসার পর থেকেই শিল্পীদের পাশে ছিলেন এবং থাকতে চান।’

জায়েদ খানের পুরো বক্তব্য দেখুন

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ১৭তম নির্বাচন আগামী ২৮ জানুয়ারি।  এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে অভিনেতা মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়ক জায়েদ খান একই প্যানেল থেকে নির্বাচন করছেন। অন্যদিকে সভাপতি পদে অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন ও সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার একই প্যানেল থেকে নির্বাচন করছেন।

এবার নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করবেন পীরজাদা হারুন। দুজন সদস্য হলেন জাহিদ হোসেন ও বজলুর রাশীদ চৌধুরী। আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে সোহানুর রহমান সোহানকে। মোহাম্মদ হোসেন জেমী ও মোহাম্মদ হোসেনকে আপিল বোর্ডের সদস্য করা হয়েছে।