চলচ্চিত্রকর্মীদের সাহায্যে এগিয়ে এলেন কনকচাঁপা
আধুনিক গান, নজরুল সংগীত, লোকগীতিসহ প্রায় সব ধরনের গানে সমান পারদর্শী কনকচাঁপা। ৩৪ বছর ধরে সংগীতাঙ্গনে সমানতালে কাজ করে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত তিনি চলচ্চিত্রে তিন হাজারেরও বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রীরা তাঁর গানে ঠোঁট মিলিয়েছেন। তুমুল শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে অসংখ্য ছবির গান।
করোনাভাইরাসের কারণে বর্তমানে সব ধরনের শুটিং বন্ধ। এতে করে বিপাকে পরেছেন অনেক শিল্পী। এবার শিল্পীদের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন গানের পাখি কনকচাঁপা। শিল্পীদের জন্য আর্থিক সহায়তা দিলেন জনপ্রিয় এই কণ্ঠশিল্পী। আজ শনিবার সশরীরে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে গিয়ে সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন তিনি।
এ বিষয়ে কনকচাঁপা বলেন, ‘চলচ্চিত্রের গান গেয়েই আজ আমি কনকচাঁপা হয়েছি। এই দুঃসময়ে চলচ্চিত্রের মানুষের প্রতি আমার দায়িত্ব আছে। তাই নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী সহায়তার চেষ্টা করেছি। বাসায় থাকুন, নিরাপদে থাকুন।’
সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, ‘আমি প্রথমেই কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই কনকচাঁপা আপাকে দেশের দুর্দিনে শিল্পীদের পাশে থাকার জন্য। করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ। যে কারণে কষ্টে দিনযাপন করছে অসচ্ছল মানুষগুলো। এরই মধ্যে আমরা বেশ কয়েকবার শিল্পী ও অন্য সংগঠনের সদস্যদের সহায়তা করেছি। যত দিন করোনা, তত দিন শিল্পীদের পাশে আছে শিল্পী সমিতি।’
জায়েদ খান আরো বলেন, ‘কথায় আছে শিল্পী হওয়া আধ্যাত্মিক ব্যাপার। সবাই শিল্পী হতে পারে না। আবার শিল্পীদের কোনো ব্যারিকেড নেই। তেমনি একজন কণ্ঠশ্রমিক কনকচাঁপা। তিনি আমাদের এফডিসির কোনো সংগঠনের সদস্য নন। কিন্তু তিনি যে গানগুলো গেয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন, তার অধিকাংশই চলচ্চিত্রের। সেই ভালোবাসা থেকে তিনি ফোন করে চলচ্চিত্রের অসচ্ছল শিল্পীদের খবর নিয়েছেন। আজ নিজে এসে শিল্পী সমিতিতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন।’
গানের পাশাপাশি লেখক হিসেবেও কনকচাঁপার সুখ্যাতি রয়েছে। ২০১০ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ‘স্থবির যাযাবর’, ২০১২ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ‘মুখোমুখি যোদ্ধা’ ও ২০১৬ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ‘মেঘের ডানায় চড়ে’ নামে তিনটি বই প্রকাশিত রয়েছে।
অনেক সাধনার পরে আমি পেলাম তোমার মন, তোমাকে চাই শুধু তোমাকে চাই, ভালো আছি ভালো থেকো, যে প্রেম স্বর্গ থেকে এসে জীবনে অমর হয়ে রয়, আমার নাকেরই ফুল বলে রে তুমি যে আমার, তোমায় দেখলে মনে হয়—এমন অসংখ্য গান একসময় দর্শকের মুখে-মুখে ছিল, এখনো রয়েছে। তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন কনকচাঁপা।