চার শতাধিক নাটকের অভিনেতা নিকুল এবার পরিচালনায়

নিকুল মন্ডলের অভিনয় ক্যারিয়ার দীর্ঘ ১৭ বছরের। ছোট পর্দার পরিচিত এই অভিনেতা কাজ করেছেন সিনেমাতেও। মঞ্চ নাটকেও দক্ষ নিকুল মন্ডল এবার নাম লিখিয়েছেন পরিচালনায়।
লিমন আহমেদের রচনায় ‘নুরুলের শেষের কবিতা’ শিরোনামে একটি একক নাটক নির্মাণ করেছেন তিনি। নাটকটিতে এক কবির নীরব প্রেম ও বিরহ ফুটে উঠেছে, যেখানে দেখা যাবে প্রেমিকার জন্য তার কবি হয়ে ওঠা। কবিতা নামের সেই প্রেমিকাকে হারানোর শোক বুক নিয়ে বেড়ান তিনি।
নাটকে কবি চরিত্রে অভিনয় করেছেন ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’খ্যাত অভিনেতা ইমতিয়াজ বর্ষণ। তাঁর প্রেমিকার চরিত্রে দেখা যাবে লাক্স তারকা নাজিয়া হক অর্ষাকে। এ ছাড়া নাটকের একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন রূপান্তরিত হোচিমিন। আরও অভিনয় করেছেন শহীদুল্লাহ সবুজ, মিলি বাশার, মাসুম বাশার, আনন্দ খালেদ, হিল্লোল সরকার, জাহিদ হিমেল, জুয়েল মিয়া প্রমুখ।
আজ রোববার দুপুরে অভিনেতা থেকে নির্মাতা হওয়া প্রসঙ্গে নিকুল মন্ডল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি মূলত সিনেমা বানাতে চাই, মঞ্চে অভিনয়ের চেয়ে নির্দেশনা দিয়েছি বেশি। প্রায় ৪০০-এর বেশি নাটকে অভিনয় করেছি। সিনেমা তো বললেই নির্মাণ করা যায় না, সে কারণে পরিচালক হিসেবে নাটক দিয়ে যাত্রা শুরু করলাম। আমি পরিচালক হিসেবে কাজ করব বলে তানভীর হোসেন প্রবাল, মেজবাউর রহমান সুমন, সোয়াইবুর রহমান রাসেল, অনিমেষ আইচ, নুরুল আলম আতিক, মাসুদ হাসান উজ্জ্বল, রবিউল ইসলাম রবিসহ আরও অনেকের সান্নিধ্যে থেকেছি।’

‘নুরুলের শেষের কবিতা’ নাটক প্রসঙ্গে নিকুল মন্ডলের ভাষ্য, ‘এ নাটক দিয়ে আমার পরিচালক হিসেবে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে। অনেক আবেগ ও প্রত্যাশা মিশে আছে এ কাজটির সঙ্গে। আমি ধন্যবাদ জানাই আমার এ নাটকের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে। খুব ভালো একটি টিম পেয়েছি বলে কোনো বাজে অভিজ্ঞতা ছাড়াই নাটকটির কাজ শেষ করতে পেরেছি। সবার ভালোবাসা নিয়ে পরিচালনায় নিয়মিত হতে চাই।’
নাটকের গল্পে দেখা যাবে, মহল্লার একসময়ের ডাকসাইটে সুন্দরী কবিতা অনেক দিন পর মহল্লায় ফিরে আসে। স্বামীর সঙ্গে সে কলকাতায় থাকত। হঠাৎ কেন সে ফিরে এলো, তা জানা যায় না। এদিকে কবিতার প্রত্যাবর্তনে উল্লাস বয়ে যায় মহল্লার কবিসংঘে। এ সংঘের সভাপতি কবি নুরুল একসময় ভালোবাসত কবিতাকে। খবর পেয়ে নুরুল কবিতাকে দেখতে তার বাড়ি যায়। কিন্তু কবিতার সাড়া মেলে না। বারবার চেষ্টায়ও ব্যর্থ হয়ে সে আবার কবিতা লিখতে শুরু করে। এবার সাড়া মেলে। এভাবেই এগিয়ে যাবে নাটকের গল্প।
নাটকটির জন্য একটি গান লিখেছেন এ প্রজন্মের জনপ্রিয় গীতিকবি জাহিদ আকবর। অনুরুদ্ধ সুরের সুরে সুমন কল্যাণের সংগীতে গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন দেবলীনা সুর। নাটকের ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক করেছেন এ পি শুভ। ডিওপি হিসেবে ছিলেন সুমন হোসাইন।
নির্মাতা সূত্রে জানা গেছে, শিগগিরই নাটকটি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচার হবে।