জায়েদ-মিশার পদত্যাগ চেয়ে এফডিসিতে মানববন্ধন

Looks like you've blocked notifications!

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান ও সভাপতি মিশা সওদাগরের পদত্যাগ চেয়ে রাস্তায় নেমেছেন সদস্যপদ হারানো শিল্পীরা। তাঁদের দাবি, ক্ষমতা ব্যবহার করে ১৮৪ জনের সদস্যপদ বাতিল করেছেন জায়েদ খান। এই কাজে তাঁকে সহায়তা করেছেন মিশা সওদাগর। তাই এ দুজনের পদত্যাগ চেয়ে একত্র হয়েছেন তাঁরা।

আজ রোববার সকাল ১১টার দিকে শতাধিক সদস্যপদ হারানো শিল্পী বিএফডিসির গেটের সামনে মানববন্ধন করেছেন। যে নেতারা শিল্পীদের সম্মান করেন না, তাঁদের পদত্যাগ চান বলে স্লোগান তোলেন তাঁরা। পাশাপাশি ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার দাবিও জানান।

এ সময় অভিনেত্রী সাদিয়া মির্জা, ফিরোজ সাঁই, শান, সাজিদ প্রিন্স, রমিজউদ্দিন, হিরো আলমসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। চলচ্চিত্রের সঙ্গে বহুদিন কাজ করা সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে হিরো আলম বলেন, ‘জায়েদ খানের জন্মের আগ থেকে যে শিল্পীরা এই চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের যাচাই-বাছাই না করে বাদ দেওয়া হয়েছে। আমাদের দাবি, যাঁদের বিনা কারণে বাদ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হোক। কারণ, এফডিসি কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। এখানে ঢোকার অধিকার শিল্পীদের রয়েছে। কাউকে ঢুকতে না দেওয়ার অধিকার কারো নেই। কয়েক দিন আগে তিনি (জায়েদ খান) আমাকে নিয়েও মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, হিরো আলম নামের কাউকে তিনি চেনেন না।’

অভিনেত্রী সাদিয়া মির্জা বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই আমরা সিনেমার সঙ্গে জড়িত। শিল্পী সমিতির একজন সম্মানিত সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত ছিলাম। ভোট দিয়েছি, যোগ্য নেতৃত্ব বাছাই করেছি। কিন্তু মিশা-জায়েদ প্যানেল ক্ষমতায় এসে আমাদের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছেন। কোন সাহসে তাঁরা এমনটি করলেন, তার জবাব চাই। আমরা শিল্পী সমিতি থেকে মিশা সওদাগর ও জায়েদ খানের পদত্যাগ চাই।’

শিল্পীরা জানান, নিজেদের সদস্যপদ ফিরে পাওয়ার জন্য বিএফডিসির সামনে মানববন্ধন চালিয়ে যাবেন তাঁরা।

অভিনেত্রী বেবি বলেন, ‘জায়েদ খান বিনা কারণে যাচাই-বাছাই না করে অনেক পুরোনো সদস্যপদ বাতিল করেছেন। মোট ১৮৪ জনকে বাদ দিয়েছেন তিনি। কেন বাদ দিয়েছেন, সেটার স্পষ্ট ব্যাখ্যা উনাকে দিতেই হবে।’

সদস্যপদ হারানো আরেক শিল্পী বলেন, ‘উনি ১৮৪ জনের সদস্যপদ বাতিল করেছেন। তাঁদের মধ্যে আমি একজন। ১৯৯৯ সাল থেকে আমি বাংলা চলচ্চিত্রে কাজ করছি।’

মানববন্ধনে শিল্পীরা আরো বলেন, সিনেমায় যাঁরা ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন, তাঁরাও শিল্পী। তাঁরাও সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাঁদের বাদ দিয়ে কেউ কখনো সিনেমার কথা ভাবে না। অথচ জায়েদ খান এসেই সবাইকে অপমান করলেন।

আজ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতেও এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। গত ১৫ জুলাই চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানকে বয়কটের ঘোষণা দেয় চলচ্চিত্রের ১৮টি সংগঠন। এ বিষয়ে শিল্পী সমিতি তাদের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেবে বিকেল সাড়ে ৪টায়। সেইসঙ্গে ১৮৪ জন শিল্পীর ভোটাধিকার বাতিল করা নিয়েও কথা বলবেন শিল্পী সমিতির নেতারা।