সদ্য বিদায়ী বছরের নভেম্বরে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া তাঁর ইনস্টাগ্রাম বায়ো থেকে জোনাস পদবি মুছে দিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের গুঞ্জন উসকে দিয়েছিলেন। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনাস থেকে তিনি হন শুধু প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। পরে অবশ্য তাঁর মা মধু চোপড়া গুঞ্জন উড়িয়ে দেন। কিন্তু রা করেননি প্রিয়াঙ্কা।

২২ নভেম্বর, ২০২১। আচমকা সোশ্যাল মিডিয়ায় বোমা ফাটান প্রিয়াঙ্কা। ইনস্টাগ্রাম বায়োতে নিজের নামের পাশ থেকে মুছে দেন ‘জোনাস’। এর জেরে তুঙ্গে ওঠে নিয়াঙ্কার ডিভোর্স জল্পনা। অবশেষে নতুন বছরে ডিভোর্সের গুঞ্জন প্রসঙ্গে মুখ খুললেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।

মার্কিন সাময়িকী ভ্যানিটি ফেয়ারকে উদ্ধৃত করে বলিউড হাঙ্গামার খবর, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া বলেছেন, সামাজিক মাধ্যমের বিভিন্ন বিষয়-আশয় মাঝেমধ্যে দুঃখজনক পরিস্থিতি তৈরি করে।

প্রিয়াঙ্কার ভাষ্যে, ‘এটি খুব বাজে অনুভূতি। আসলে, আমি যদি একটি ছবি পোস্ট করি, সেই ছবিতে আমার পেছনে থাকা সমস্ত কিছু জুম করা হবে এবং মানুষজন অনুমান করে চলেছে। এটা পেশাদারত্বের জন্য হুমকি...  সামাজিক মাধ্যমের হট্টগোলের কারণে আমাদের জীবনে এটির যে প্রচলন রয়েছে, আমি মনে করি এটির চেয়ে অনেক বড় মনে হয়। আমি মনে করি, আমরা এটিকে বাস্তব জীবনে অনেক বেশি বিশ্বাস করি এবং আমি মনে করি না এটির প্রয়োজন রয়েছে।’

ইনস্টাগ্রামে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া খুব সক্রিয়। মিনিটেই একটি পোস্টে লাখো লাইক পড়ে। এ মাধ্যমে ৭০ মিলিয়নের বেশি অনুসরণকারী রয়েছে তাঁর। তাই যখন তিনি নামের পাশ থেকে পদবি সরান, মুহূর্তেই ভক্তরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন।

কোটি তরুণের হৃদয় ভেঙে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে মার্কিন গায়ক নিক জোনাসের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। ভারতের যোধপুরের উমেদ ভবন প্রাসাদে হয় তাঁদের রাজকীয় বিয়ের আয়োজন। বিবাহপূর্ব অনুষ্ঠানগুলোও ছিল অভিজাত।

বলিউড পেরিয়ে এখন হলিউডের পরিচিত নাম প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তবে মনেপ্রাণে যে তিনি ‘দেশি গার্ল’, তা প্রমাণ করেছিলেন বিয়ের পরেই। নিজের নামের পাশে জুড়েছিলেন স্বামীর পদবি। জোর গলায় বলেছিলেন, ‘আমি ভারতীয় সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী, স্বামীর পরিচয় নিজের সঙ্গে যুক্ত করাটা গর্বের।’

তাই পদবি সরানোর পর ডিভোর্স জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। অবশ্য এর আগেও একবার এমন গুজব রটেছিল। পরে সে গুঞ্জন ধোপে টেকেনি।