তৌকির-তারিনের ‘কথা শুনতে হবে’
নির্মাতা এস এ হক অলিক। ছোট পর্দার পাশাপাশি বড় পর্দায়ও নিজের মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন। প্রতি বছরের মতো এবারের ঈদেও তিনি দর্শকের জন্য কিছু নাটক নির্মাণ করেছেন। এবার তৌকির আহম্মেদ, তারিন ও মমকে নিয়ে নির্মাণ করেছেন ‘কথা শুনতে হবে’।
নাটকের গল্প নিয়ে নির্মাতা জানান, আরিফ হায়দার অর্থনৈতিকভাবে খুবই সচ্ছল। গ্রামে থাকলেও চালচলনে বোঝার উপায় নেই। বিশাল বাংলো, সাজানো-গোছানো পরিপাটি চারদিক। আনন্দ-আয়োজনেরও কোনো কমতি নেই। দাপুটে স্বভাবের আরিফ স্ত্রী রোদেলাকে খুব ভয় পায়। রোদেলা সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে, উচ্চশিক্ষিত না হলেও লেখাপড়া খানিকটা জানে। বাড়ির সবাই রোদেলাকে সমীহ করে চলে। সত্যি কথা বলতে সে ভয় পায় না।
গল্পের শুরুতেই আরিফ ব্যবসার কাজ শেষ করে ঢাকা থেকে ফেরে। সঙ্গে কাজের লোকজন। রোদেলার সামনে পড়তেই শুরু হয় শাসন। এখন করোনার সময় সচেতন থাকতে হবে সবাইকে। রোদেলা আরিফকে সাফ জানিয়ে দেয় আগামী ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। যেমন কথা তেমন কাজ। ঘরবন্দি হয় আরিফ, বাড়ি যেন হাসপাতাল। রোদেলাও কাছে আসে না। দরজার বাইরে থেকে কথা হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব কিছু। ঘরবন্দি থেকে আরিফ পাগলের মতো। রোদেলা কাজে ব্যস্ত থাকলে চুরি করে বাইরে বের হয়ে কাজের লোকদের সঙ্গে কথা বলে আরিফ। বারবার রোদেলার কাছে ধরা পড়ে।
সামনে কোরবানির ঈদ। বরাবরের মতো সবচাইতে বড় গরু কোরবানি দিতে হবে এবারও। আরিফ অস্থির হয়ে ওঠে এই করোনার সময় কোথায় বসবে বড় গরুর হাট। চারদিকে লোক লাগিয়ে দেয় আরিফ, বড় গরু লাগবেই, নইলে মান থাকবে না। এবারও বাধ সাধে রোদেলা। তার স্পষ্ট প্রতিবাদ, প্রতিযোগিতা করে কখনো কোরবানি হয় না। তাছাড়া করোনার সময় অনেক মানুষ অর্থকষ্টে আছে, মোটামুটি একটা কোরবানি দিয়ে বাকি টাকা গরিবদের দান করতে বলে আরিফকে। এবার আরিফ প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। সবচেয়ে বড় গরুই সে কোরবানি দেবে। কোনো কথা শুনবে না সে। অপরদিকে রোদেলার ঘোষণা, কথা শুনতেই হবে।
ঈদে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে নাটকটি প্রচার হবে। দর্শক নাটকটি পছন্দ করবেন বলে আশা করেন নির্মাতা। বর্তমানে বেশ কিছু নাটক নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন অলিক।