থানায় অরুণা বিশ্বাস, ভিডিও মুছে দিলেন মালেক আফসারী
চলচ্চিত্র নির্মাতা মালেক আফসারীর বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন অভিনেত্রী ও চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদস্য অরুণা বিশ্বাস। নির্মাতার বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণের অভিযোগ এনেছেন এক সময়ের জনপ্রিয় এই নায়িকা।
গতকাল সোমবার রাতে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় গিয়ে অরুণা বিশ্বাস জিডি করেছেন বলে এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইমুম আহম্মেদ।
অরুণা বিশ্বাস যে জিডি করেছেন, সেখানে তাঁকে কী বলে সম্মানহানি করা হয়েছে, তা তিনি সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেননি। অরুণার জিডিতে লেখা—আফসারীর তৈরি করা ভিডিওতে আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে যে কুইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলা হয়েছে, তা আমার ব্যক্তিগত ইমেজ ও পরিবারের সম্মান নষ্ট করা হয়েছে। ভিডিওটি দেখে আমি মালেক আফসারীকে ফোন করলে তিনি ভিডিওটি প্রাইভেট করে ফেলেন। যার কারণে ভিডিওটি এখন আর দেখা যাচ্ছে না। এই ভিডিও করার পেছনে মালেক আফসারীর দুরভিসন্ধিমূলক কোনো চিন্তা রয়েছে।
জিডির তদন্ত কর্মকর্তা সাইমুম আহম্মেদ বলেন, ‘মালেক আফসারীর বিরুদ্ধে তিনি (অরুণা বিশ্বাস) ব্যক্তিগত আক্রমণের অভিযোগ এনেছেন। অরুণা বিশ্বাসকে নিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করে তা ইউটিউবে আপলোড করেন মালেক আফসারী। ওই ভিডিওতে অরুণা বিশ্বাস কীভাবে সেন্সর বোর্ডের সদস্য হলেন, সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে। অরুণার মনে হয়েছে, তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। ফলে তিনি জিডিটি করেছেন। জিডি নম্বর ৩৭৮।’
সাইমুম আহম্মেদ আরও বলেন, ‘যদিও মালেক আফসারী ভিডিওটি ইউটিউব থেকে মুছে ফেলেছেন অথবা প্রাইভেট করে ফেলেছেন। আমিও নিজেও ভিডিওটি ইউটিউবে দেখতে পাইনি। তবে, ভিডিওটি দেখার সময় অরুণা বিশ্বাস তাঁর ফোনেও ভিডিও করে রাখেন। আমি সেটা দেখেছি। জিডির বাদী ও বিবাদী, দুজনকেই ডাকা হয়েছে থানায়। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানার চেষ্টা করব।’
এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মালেক আফসারী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘মূলত ভিডিওটিতে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের অনিয়ম নিয়ে কথা বলা হয়েছে। সেখানে অরুণা বিশ্বাস সম্পর্কেও কথা বলা হয়েছে। উনি সেন্সর বোর্ডের সদস্য ও বিচারক। উনি যেহেতু সম্মানের স্থানে আছেন, সেহেতু উনার সম্মানের জায়গাটা রাখা দরকার। শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে চলমান দ্বন্দ্ব সম্পর্কে তাঁর ভূমিকা থাকা দরকার ছিল। এসব নিয়ে কথা হয়েছে।’
মালেক আফসারী আরও বলেন, ‘ভিডিও দেখার পর অরুণা বিশ্বাস আমাকে ফোন করে বলেন, তিনি কষ্ট পেয়েছেন। আমি বললাম, কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি প্রাইভেট করে দিচ্ছি। দিয়েছিও। হাসিমুখে বিদায় নিলাম। তার পরেও সকালে ঘুম থেকে উঠে শুনি জিডি করা হয়েছে। এটার তো দরকার ছিল না। সেন্সর বোর্ডের মেম্বার হওয়া নিয়ে আমি যদি কথা বলেও থাকি, উনি বলার পরপরই কিন্তু আমি ভিডিও প্রাইভেট করেছি। মূলত দলাদলির কারণে এই জিডি করা হয়েছে। আমি যদি জায়েদ খানের পক্ষ নিতাম, তাহলে এটা হতো না।’