দিল্লি জ্বলছে, কিন্তু পুলিশ খুঁজছে শুধু তাহির হুসেনকে
ভারতের নয়াদিল্লিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে সহিংসতায় মারা গেছে ৪০ জনেরও বেশি। এ ছাড়া আহতদের মধ্যে অন্তত ৩০০ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী টহল শুরু করেছে। পরিস্থিতি এখনো থমথমে।
সিএএ নিয়ে যখন উত্তাল দিল্লি, তখন সে রাজ্যের পুলিশকে একহাত নিয়েছেন সংগীতজ্ঞ, গীতিকার জাভেদ আখতার। তাঁর একটি টুইটকে ঘিরে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজ এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য দিয়েছে।
এক টুইট বার্তায় জাভেদ আখতার লেখেন, দিল্লি যখন জ্বলছে, একের পর এক মানুষের প্রাণ যাচ্ছে, দোকানপাটে লুটপাট চলছে, সে সময় দিল্লির পুলিশ একটি বাড়ির সামনেই দাঁড়িয়ে রয়েছে। খুঁজে যাচ্ছে সেই বাড়ির মালিককে। কারণ তাঁর নাম তাহির। দিল্লি পুলিশের এমন আচরণে ‘অবাক’ জাভেদ আখতার।
সম্প্রতি দিল্লির সহিংসতা ও আইবি অফিসার অঙ্কিত শর্মার মৃত্যুর পর এভাবেই পুলিশকে একহাত নিলেন জাভেদ আখতার।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে প্রথম থেকেই প্রতিবাদে মুখর জাভেদ আখতার। এ আইনকে কেন্দ্র করে যখন দিল্লি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, তখনই এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করেন জাভেদ, যা নিয়ে কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। এর পরই আইবি অফিসার অঙ্কিত শর্মার মৃত্যুতে বিধায়ক তাহির হুসেনের নাম সামনে আসার পর শুরু হয়ে যায় আরো একদফা শোরগোল। তখনই বিষয়টি নিয়ে সরব হন জাভেদ আখতার।
অবশ্য নেটিজেনদের কেউ কেউ জাভেদ আখতারকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি। তাঁদের কারো কারো মত, তাহির হুসেন মুসলিম বলেই তাঁকে রক্ষার চেষ্টা করছেন বলিউডের জনপ্রিয় সুরকার জাভেদ আখতার।
যা হোক, দিল্লির সংঘাতের সেই আঁচ এবার পৌঁছেছে মেঘালয় রাজ্যে। এনটিভি অনলাইনের কলকাতা সংবাদদাতা জানিয়েছেন, গতকাল শুক্রবার থেকে সিএএ বিরোধিতায় আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশটির উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য। আন্দোলনের জেরে এরই মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় শিলংয়ে কারফিউ জারি করা হয়েছে।