নিজের জীবনকাহিনি শুনে হতবাক অমিত হাসান

Looks like you've blocked notifications!
জনপ্রিয় অভিনেতা অমিত হাসান। ছবি : সংগৃহীত

অনলাইনের কারণে মানুষ এখন সহজেই জানতে পারেন অজানা সব বিষয়। কোনো বিষয়ে জানার আগ্রহ থাকলে নেটে তা লিখে সার্চ দিলেই সে বিষয়ে হাজারও তথ্য চলে আসে। এতে করে সহজেই সব বিষয় জানতে পারেন মানুষ। তবে বিভ্রান্তিও প্রচুর। নানা ভুল তথ্যে ভরা কনটেন্ট বা আধেয় রয়েছে অন্তর্জালে। অনেকে এসব করে মজা পান। অনেকে নিজের আখের গোছান। তাই তথ্য যাচাই যে জরুরি, তা আরেকবার প্রমাণ হলো।

অনেকে ব্যবসার লক্ষ্যে ইউটিউব চ্যানেল খুলে বসেছেন। ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছেন মানুষকে। এমনকি একটি ইউটিউব চ্যানেলে নিজের জীবনকাহিনি শুনে হতবাক হয়েছেন খোদ অমিত হাসান।

অমিত হাসান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ইউটিউবে নিজের জীবনকাহিনি শুনে আমি হতবাক। কী বলছে এসব আমাকে নিয়ে। আমার নাম ঠিক নেই, চলচ্চিত্র-যাত্রার খবর ঠিক নেই, প্রথম ছবির নাম নেই, এমনকি আমার শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ সব ইনফরমেশন ভুল। আজ সকালে উঠে এসব দেখে নিজের মনটাই খারাপ হয়ে গেল। কার কাছে কোথায় জানাব বুঝতে পারছিলাম না। অগত্যা বিষয়টি জানাতে এনটিভি অনলাইনের প্রতিবেদককে ফোন করি।’

অমিত হাসান বলেন, ‘অবসরে আমি সব সময় নেট ঘাঁটাঘাটি করি। নতুন নতুন বিষয় জানতে আমার খুব ভালো লাগে। সকালে নেট ঘাঁটার সময় আমি ইউটিউবে দেখতে পাই অমিত হাসানের জীবনকাহিনি লেখা, সেখানে আমার ছবি। নিজের ছবি দেখে জানার আগ্রহটা বেড়ে যায়। চালিয়ে দেখে তো হতবাক হয়ে যাই। কারা এসব করছে? এতে করে তো ভক্তরা আমাদের নিয়ে ভুল তথ্য জানছে, সত্য জানা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমি বিষয়টির তীব্র প্রতিবাদ করছি এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এসব যেন বন্ধ করা হয় এবং যারা এসব ভুল তথ্য দিচ্ছে, তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য দাবি জানাচ্ছি।’

ভুলে ভরা অমিতের জীবনী :

ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়েছে ২০১৬ সালে। এরই মধ্যে দেড় লাখের বেশি ভিউ হয়েছে। চার বছর পর এ ভিডিও নজরে এলো অমিত হাসানের।

জনপ্রিয় অভিনেতা অমিত হাসান। আসল নাম খন্দকার সাইফুর রহমান। ১৯৯০ সালে ছটকু আহমেদ পরিচালিত ‘চেতনা’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে তাঁর অভিষেক ঘটে। একক নায়ক হিসেবে মনোয়ার খোকনের ‘জ্যোতি’ ছবি দিয়ে শুরু হয় তাঁর সফলতা। ২০১২ সালে ‘ভালোবাসার রঙ’ ছবির মাধ্যমে তিনি খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন। ২০১৫ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।