নেপথ্যের মানুষের সংকট ও বাস্তবতা নিয়ে ‘নেপথ্যের আলো’
করোনার এই দুঃসময়ে বিনোদন অঙ্গনের নেপথ্যের মানুষের সংকট ও বাস্তবতা নিয়ে একটি ভিডিও নির্মাণ করেছেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী ও নাট্যকার ফারিয়া হোসেন।
‘নেপথ্যের আলো’ শিরোনামে ভিডিওতে করোনাকালে নাটক নির্মাণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত প্রতিটি বিভাগের মানুষের সংকট ও অস্তিত্বের কথা জানান দেওয়া হয়েছে। ভিডিওটির দৈর্ঘ্য ১০ মিনিট ৫৮ সেকেন্ড।
পরিচালক, নাট্যকার, সহকারী পরিচালক, ক্যামেরাম্যান, এডিটর, লাইট ক্রু, মেকআপম্যান, প্রোডাকশন ক্রু, শুটিং হাউস মালিকসহ ৫০ জনের বেশি মানুষ তাঁদের মত ব্যক্ত করেন।
এঁদের মধ্যে রয়েছেন অভিনেতা আবুল হায়াত, মাহফুজ আহমেদ, সালাউদ্দিন লাভলু, এস এ হক অলীক, শিহাব শাহীন, দীপংকর দীপন, অনিমেষ আইচ, বদরুল আনাম সৌদ, মোস্তফা কামাল রাজ, রেদোয়ান রনি, কৌশিক শংকর দাস, সকাল আহমেদ, বান্নাহ, সোহেল আরমান, আবু হায়াত মাহমুদ, শুভ্র খান, শ্রাবণী, প্রীতি দত্ত, পিকলু চৌধুরী, অরুণা বিশ্বাস, শাহনেওয়াজ কাকলী, হৃদি হক, শহীদ উন নবী, নাজমুল রনি, সুব্রত মিত্র, শহীদুজ্জামান সেলিম, তুহিন হোসেন, শমী কায়সার প্রমুখ।
নাট্যকার হিসেবে আছেন ইমদাদুল হক মিলন, অরুণ চৌধুরী, মাসুম রেজা, এজাজ মুননা, পান্থ শাহরিয়ার, ইফফাত আরেফীন তন্বী, শান্তনু, ফারিয়া হোসেন, জিনাত হাকিম, নাজনীন হাসান চুমকি প্রমুখ।
এ ছাড়া রয়েছেন ক্যামেরাম্যান নাভিদ খান চৌধুরী, খায়ের খন্দকার, সুজন মেহমুদ, জুয়েল দাস। এডিটর সাদ্দাম হোসেন, রাশেদ রাব্বি, রাব্বি, পিয়াল। প্রোডাকশন ক্রু আব্বাস আলী, বাদশা-১, বাদশা-২, গিয়াস। মেকআপম্যান বাবুল, রবিন, মামুন, সুমি। লাইট ক্রু ধনু, ইউনুস। সহকারী পরিচালক সোহরাব হিরো, নকুল, ইব্রাহিম খলিল নাহিদ। শুটিং বাড়ি মালিক আলীম ও খলিল।
দেখুন ভিডিওতে :
ভিডিওটি প্রসঙ্গে নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এপ্রিলের শেষের দিকে ভিডিওটি নির্মাণের ভাবনা আমার মাথায় আসে। আমাদের কোনো স্বীকৃতি নেই, আমাদের প্রণোদনা নেই, আমাদের মেধাস্বত্ব বিক্রি হয়ে যায়। কোনো রয়্যালটি নেই। আমাদের মধ্যে দিন আনে দিন খায় যারা, তাদের করোনার চিত্রগুলো চোখের সামনে ভেসে উঠল। মনে হলো এই বিষয়গুলো দেশের মানুষকে জানানো উচিত, আমরা নেপথ্যের মানুষগুলো কত কষ্টে আছি! এমন কিছু করা উচিত যা করোনাকালের সাক্ষী হবে। ফারিয়া হোসেনকে জানালে তিনি আমাকে একটা লাইনআপ পাঠান। এভাবেই কাজটি এগোয়।’
চয়নিকা আরো বলেন, ‘প্রত্যেকের সঙ্গে কাজটি নিয়ে কথা বলতে হয়েছে। বোঝাতে হয়েছে। প্রত্যেককে দিয়ে ভিডিও করিয়ে তা সংগ্রহ করতে হয়েছে, ড্রেস-ফ্রেম আমি বাসায় বসে নির্ধারণ করেছি। সব ভিডিও সংগ্রহ করে ৫৫ দিনের লকডাউন ভেঙে নেপথ্যের আলোর এডিটিংয়ের লাইনআপ ঠিক করতে বের হয়েছি। এ ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।’
’আমি ধন্যবাদ দিতে চাই রাশেদ রাব্বিকে, তিনি আমাকে তাঁর প্যানেলে প্রাথমিক লাইনআপ করার সুযোগ দিয়েছেন। ধন্যবাদ ভিডিও এডিটর শুভ্র খান ও নির্মাতা শ্রাবণী ফেরদৌসকে। তাঁরা এগিয়ে না এলে হয়তো নেপথ্যের আলো আসতে আরো একটু দেরি হতো। রমজান মাসে তাঁকে আমার অনেক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে,’ যোগ করেন চয়নিকা চৌধুরী।