পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার পরামর্শ অনন্ত জলিলের

Looks like you've blocked notifications!
প্রযোজক ও চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল। ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস আতঙ্ক। এর সংক্রমণ রোধে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে সরকারি ছুটি। বন্ধ হয়েছে দূরপাল্লার গণপরিবহন। এমন সময় ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের নামাজ, জিকির ও দোয়া করার পরামর্শ দিয়েছেন চিত্রনায়ক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী অনন্ত জলিল।

সম্প্রতি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ওই আহ্বান জানান অনন্ত। পাশাপাশি আশপাশের দুস্থ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেন তিনি।

ফেসবুকে অনন্ত লেখেন, ‘সুপ্রিয়, বন্ধুগণ। আশা করি, সবাই আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের মহামারিতেও আল্লাহ আমাদের সুস্থ ও বিপদমুক্ত রেখেছেন বলে তার প্রতি আমাদের শুকরিয়া আদায় করছি। বর্তমানে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি কমাতে সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ সব সেবা সংস্থা। এভাবেই বিশ্বের সব দেশ করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। বাংলাদেশের সব মানুষ যেন নিজ গৃহে থাকেন, সেজন্য সরকার টানা ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে। অতএব আমরা এই ১০ দিন ২৪ ঘণ্টা বাসায় অবস্থান করার পাশাপাশি অবশ্যই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করব। সাথে জিকির করব, কোরআন শরিফ পাঠ করব।’

অনন্তর আরো পরামর্শ, ‘সাথে সপ্তাহের সোমবার ও বৃহস্পতিবার নফল রোজা রাখতে পারেন। পাশাপাশি যারা বিত্তবান ও সামর্থ্যবান আছেন তারা আপনাদের সামর্থ্য অনুযায়ী দুস্থ ও অসহায় গরিব মানুষদের খাদ্য ও অর্থ সহায়তা দিয়ে পাশে থাকবেন। যেন তাদের এই ১০ দিন অর্থের অভাবে কষ্ট করে থাকতে না হয়। আসুন আমরা সবাই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে জিকির করে নিজেদের, দেশের ও পুরো বিশ্বের সবার শান্তি, সুস্বাস্থ্য, কল্যাণের জন্য মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি। আল্লাহ আমাদের এই এবাদতের উসিলায় বিশ্বকে ভাইরাসমুক্ত ও শান্তিময় করে তুলুক। সবার গুনাহ মাফ করে দিন।’

দেশে চলমান করোনা-সংকটে চলচ্চিত্রের দুস্থ শিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন অনন্ত জলিল। সম্প্রতি তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি, পরিচালক সমিতি এফডিসির কলাকুশলীদের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিতরণ করে। এ সময় প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু, পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৭ মার্চ শিল্পী সমিতির সহায়তায় চলচ্চিত্রের ২২০ জন অসচ্ছল শিল্পীর বাসায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পাঠানো হয়। পৃষ্ঠপোষকতা করেন অনন্ত জলিল।