পুরস্কার নেবেন না মোশাররফ, কিছুই করার নেই জুরি বোর্ডের
নুর ইমরান মিঠু পরিচালিত ‘কমলা রকেট’ চলচ্চিত্রের জন্য এবার ‘শ্রেষ্ঠ অভিনেতা কৌতুক চরিত্রে’ ২০১৮ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম। তবে এ পুরস্কার গ্রহণ করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
আগামী ৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্টসহ সম্মাননা তুলে দেবেন।
সম্প্রতি ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে ‘কমলা রকেট’-এর ‘মফিজুর’ চরিত্রটি কৌতুক চরিত্র নয় দাবি করে জুরি বোর্ডকে পুরস্কার প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন মোশাররফ করিম।
অভিনেতা মোশাররফ করিম এখন মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন। এ ব্যাপারে মুঠোফোনে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় তাঁর। ফের নিশ্চিত করেন, পুরস্কার গ্রহণ করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।
মোশাররফ করিম বলেন, “এ পুরস্কার আমার পক্ষে গ্রহণ করা সম্ভব নয়। তার মানে এই নয় যে আমি কৌতুক অভিনয়কে ছোট করছি। আমি যে নাটকগুলোতে অভিনয় করেছি, তার মধ্যে অনেক নাটকই কৌতুকনির্ভর। আসলে একটি সিরিয়াস চরিত্রে অভিনয় করে আমি কেন কৌতুক চরিত্রের জন্য পুরস্কার নেব? ‘কমলা রকেট’ চলচ্চিত্রে আমি ‘মফিজুর’ চরিত্রে অভিনয় করেছি। সেটা কি কৌতুক চরিত্র? যদি না হয়, তবে আমি কেন কৌতুক অভিনেতা হিসেবে পুরস্কার পাব?”
জুরি বোর্ডকে অনুরোধ করে মোশাররফ বলেন, “এর আগে ফেসবুক পেজে লিখেছি, সেখানে আমি সম্মানিত জুরি বোর্ডের কাছে অনুরোধ করেছি, এখনো করছি—‘শ্রেষ্ঠ অভিনেতা কৌতুক চরিত্রে’ আমার জন্য বরাদ্দ করা পুরস্কারটা প্রত্যাহার করে নিন। কারণ, আমার পক্ষে এই পুরস্কার গ্রহণ করা সম্ভব নয়, আমি গ্রহণ করব না।”
বিষয়টি নিয়ে ২০১৮ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরি বোর্ডের সদস্য ও চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার এনটিভি অনলাইনকে জানান, এ ব্যাপারে তাঁদের কিছুই করার নেই।
গুলজার বলেন, ‘কেউ যদি পুরস্কার না নেয়, তাহলে আমাদের কিছু করার নেই। তা ছাড়া ছবির পরিচালক কৌতুক অভিনেতা হিসেবে মোশাররফ করিমের নাম জমা দিয়েছেন। পুরস্কার প্রদানের দিন নাম ঘোষণা করা হবে মোশাররফ করিমের। উনি না এলে অনুপস্থিত দেখানো হবে। এ নিয়ে নতুন করে কোনো মিটিং করার চিন্তা নেই জুরি বোর্ডের।’
এ নিয়ে ছবির পরিচালক নুর ইমরান মিঠু বলেন, ‘একজন পরিচালকের কাজ চলচ্চিত্র নির্মাণ করা। আমি সেটা করেছি। আর পুরস্কারের জন্য আবেদন করেছেন ছবির প্রযোজক। যখন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয় আবেদন চেয়েছে, তখন আমি দেশের বাইরে ছিলাম।’
অবশ্য ছবির প্রযোজক আবু শাহেদ ইমনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।