ফারুক ফিরলেন ৮০৩ দিন পর, কিন্তু...
সময়ের হিসাবে ৮০৩ দিন পর দেশে ফিরেছেন ঢাকাই সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। শেষবারের মতো রাজধানীর উত্তরার বাড়িতেও ফিরলেন নিথর দেহে।
২০২১ সালের ৪ মার্চ থেকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের চিকিৎসাধীন ছিলেন ঢাকাই সিনেমার মিয়া ভাই। মঙ্গলবার (১৬ মে) সকাল ৭টা ৪০ মিনিটের ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে মরদেহ দেশে পৌঁছায় তাঁর। এই হিসাবে ৮০৩ দিন ফিরলেন ফারুক।
সেখান থেকে ফারুকের মরদেহ নেওয়া হয় অভিনেতার রাজধানীর উত্তরার বাসায়। এরপর সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়েছে ফারুকের মরদেহ। সেখানে রাখা হবে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দুপুর ২টায় মরদেহ নেওয়া হবে এফডিসিতে। সেখানে নামাজে জানাজা শেষে এরপর গুলশানের আজাদ মসজিদে বাদ আসর ফের জানাজা শেষে নায়ক ফারুককে গাজীপুরের কালীগঞ্জে পারিবারিক কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে সমাহিত করা হবে।
ঢাকাই সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক সোমবার (১৫ মে) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
চিত্রনায়ক ফারুক ১৯৪৮ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ঢাকাই সিনেমায় অভিষেক হয় তাঁর। এরপর তিনি পরিণত হন অন্যতম জনপ্রিয় নায়কে।
এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে নায়ক ফারুক বড় পর্দায় আসেন। অভিনয়ের জন্য ১৯৭৫ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৬ সালে ভূষিত হয়েছেন আজীবন সম্মাননায়।
তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘সারেং বৌ’, ‘লাঠিয়াল’, ‘সুজন সখী’, ‘নয়নমনি’, ‘মিয়া ভাই’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সাহেব’, ‘আলোর মিছিল’, ‘দিন যায় কথা থাকে’ ইত্যাদি।