বঙ্গবন্ধুকে সম্মাননা উৎসর্গ ও সিআইপি ঘোষণার দাবি সোহেল রানার
‘বঙ্গবন্ধু যদি সেদিন না বলতেন, তুই চলচ্চিত্রে থেকে যা, আজকে সারা বাংলাদেশসহ পৃথিবীর মানুষ আমাকে চিনতেন না। তাই আজকের এই দিনে আমি যে পুরস্কারটি পেয়েছি, তা জাতির পিতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, আমার শিক্ষাগুরু, আমার রাজনৈতিক গুরু, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে তাঁর পায়ের কাছে সম্মাননাটি উৎসর্গ করলাম।’ আজ (১৭ জানুয়ারি) জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্তির মঞ্চে ২০১৯ সালে আজীবন সম্মাননাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, প্রযোজক ও চিত্রনায়ক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা এভাবে আবেগতাড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি সম্মাননাটি উৎসর্গ করার আগে এই অভিনেতা আরো বলেন, “৪৯ বছর আগে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সিনেমা ‘ওরা ১১ জন’ আমি প্রডিউস করেছিলাম। হয়তো বঙ্গবন্ধু আমাকে স্নেহ করতেন, তাই তিনি সিনেমাটি দেখেছিলেন। সে সময় যখন আমি ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে যাই, তখন বঙ্গবন্ধু আমাকে বলেন, ‘ভালোই তো বানাইছস, এখানে থেকে যা।’ আমি সেই গুরুবাক্যকে চিরধার্য মনে করে চলচ্চিত্র জগতেই রয়ে গেলাম। এরপর দ্বিতীয় সিনেমা করলাম ‘মাসুদ রানা’ এবং এরপর থেকে আমার ইতিহাস...।”
আয়োজনে সোহেল রানা প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘আজীবন পুরস্কারপ্রাপ্তদের যেন সব সময় সম্মান জানানোর ব্যবস্থা করা হয়। প্রতিবছর যাঁরা পুরস্কার পাচ্ছেন, তাঁদের চার বছরের জন্য না হলেও অন্তত দুই বছরের জন্য হলেও সিআইপি (কালচারাল ইমপর্টেন্ট পারসন) ঘোষণা করা হোক। শুধু তারকা নয়, চলচ্চিত্রের সব ধরনের শিল্পী, পরিচালক ও কুশলীদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা করার অনুরোধ করছি। আপনি যদি নির্দেশ করেন, আমি মনে করি বিএফডিসির মহাব্যবস্থাপকের মাধ্যমে এটি করা হলে সাধারণ কোনো শিল্পী, কর্মচারী মৃত্যুর আগ পর্যন্ত না খেয়ে মারা যাবেন না।’
আজ ১৭ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ৪৪তম আসর শুরু হয়। এবারের আসরে ২৫টি ক্যাটাগরিতে ৩১টি পুরস্কার প্রদান করা হয়। গণভবন থেকে অন্তর্জালে এই আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
২০১৯ সালে আজীবন সম্মাননাপ্রাপ্তির তালিকায় চিত্রনায়ক সোহেল রানার সঙ্গে ছিলেন অভিনেত্রী কোহিনুর আক্তার সুচন্দা। তবে তিনি উপস্থিত না থাকলেও পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেছেন তাঁর মেয়ে।